ছাগল ছাড়াতেও থানার ওসিকে এমপির ফোন?

থানার গাছ খেয়ে ফেলায় আটক রামছাগল ছাড়াতে সংসদ সদস্যের অনুরোধের ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু ওই সংসদ সদস্যের অনুরোধে কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত খোয়ারে জায়গা হয়েছে সেই ছাগলটির।

জানা যায়, বাহুবল সদর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. ফারুক আহমেদের একটি রামছাগল গত মঙ্গলবার বাহুবল মডেল থানার ভিতরে কয়েকটি গাছের চারা খেয়ে ফেলে। তখন ছাগলটিকে আটক করা হয়। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ছাগলটি থানায় আটক ছিল।

বিষয়টি জানার পর শনিবার বিকেলে বাহুবল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম খানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ইউপি সদস্যের ছাগল থানার ভিতরের গাছ বিনষ্ট করায় এটিকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় সংসদ সদস্যসহ আরও কয়েকজন ছাগলটি ছাড়ার জন্য আমাকে ফোনে অনুরোধ করেছেন।

তিনি যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছেন। কিন্তু আমরা ওই ছাগলটিকে পার্শ্ববর্তী খোয়ারে জমা দিয়েছি।

রামছাগলের মালিক ইউপি সদস্য ফারুক মিয়া বলেন, আমার ছাগলটি ছাড়ানোর জন্য কয়েকদিন ধরে ঘুরতেছি। পুলিশ বলেছে আমার ছাগল খোয়ারে জমা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোন খোয়ারে জমা আছে, তার সন্ধান পাচ্ছি না। বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম রশিদ আহমেদের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলেও ছাগলটি ছাড়া হয়নি।

বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদের শরণাপন্ন হয়েছিলাম। তিনি ওসিকে মুঠোফোনে কল দেওয়ার পরও থানা থেকে আমার ছাগল ছাড়া হয়নি। বিষয়টি জানতে গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ এমপির মুঠোফোনে বলেন, ‘ছাগল ছাড়ার নয়, বিষয়টি দেখার জন্য ওসিকে ফোন করেছিলাম। এর আগেও থানার গাছ খাওয়ার পর দুইবার ছাড়ানো হয়েছিল।’

এসএইচ-১২/০৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক)