প্রকৃতিতে ছড়িয়ে রয়েছে ঘুমের ওষুধ

ব্যস্ত জীবনে বর্তমানে যে সমস্যাটি মানুষের ওপর জেঁকে বসেছে তা হলো ঘুমের অভাব বা অনিদ্রা। এ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অনেকেই ঘুমের ওষুধকে সঙ্গী করে নেন, যা মোটেও উচিত নয়। কেননা, এসব ওষুধের রয়েছে দীর্ঘকালীন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঘুমের ওষুধের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতি ডেকে আনে। তাই এসব ক্ষতিকর ওষুধের বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন প্রকৃতিতে ছড়িয়ে থাকা কিছু ঘুমের ওষুধ।

প্রকৃতির এসব ওষুধ বা খাবারগুলো ঘুমের ওষুধের বিকল্প হিসেবে দারুণ কাজ করে। এসব খাবারের তেমন কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।

পাকা কলা: এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম। এই উপাদান মাংসপেশিকে শিথিল রাখতে বেশ কার্যকরী। কলা খাওয়ার পর শরীরে মেলাটোনিন ও সেরোটোনিন হরমোন নির্গত হতে শুরু করে, যা ঘুমের দেশে আপনাকে খুব দ্রুত নিয়ে যেতে পারে।

মধু: মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামের নিউরোট্রান্সমিটারের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। ঘুমের শত্রু এই উপাদানটিকে দূর করতে হলে রাতে চার ফোটা মধু খেতে পারে। মধু খাওয়ার পর মস্তিষ্কে গ্লুকোজ প্রবেশ করে এবং ওরেক্সিন উৎপাদন বন্ধ করে দিতে শুরু করে। তাই মধু খাওয়ার আধঘণ্টার মধ্যে আপনার ঘুম চলে আসতে শুরু করবে।

বাদাম: রাতে ঘুমের সমস্যা থাকলে খাবারের পর ৭টি বাদাম খাওয়ার অভ্যাস করতে পারেন। এতে রাতের ঘুম অনেকটাই গভীর হবে আপনার। তবে যদি পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকে, তবে রাতের পরিবর্তে বিকেলে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

ওটমিল: ঘুমের প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে ওটমিলকেও কাজে লাগাতে পারেন। ওটমিলে রয়েছে ঘুমের সহায়ক উপাদান মেলাটোনিন। নিয়মিত ওটমিল খাওয়ার অভ্যাসে একদিকে যেমন ঘুমের সমস্যা দূর হবে, অন্যদিকে ওজনও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

সিদ্ধ আলু: নিয়মিত ডায়েটে সিদ্ধ আলু রাখলে ট্রাইপটোফানের সাহায্যে হাই তোলায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। এর ফলে খুব দ্রুতই আপনার মস্তিষ্ক ঘুমিয়ে পড়ার সুযোগ পায়।

হালকা গরম দুধ: প্রাকৃতিক ঘুমের ওষুধ হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে এক গ্লাস হালকা গরম দুধ। দুধের ক্যালসিয়াম মস্তিষ্কে ট্রাইপটোফান ব্যবহারে সহায়তা করে। যার ফলে মানসিক চাপ কমে এসে শরীর নিস্তেজ হয়ে ঘুম চলে আসে।

এসএইচ-০৮/২৪/২২ (অনলাইন ডেস্ক)