ধর্মঘটে বন্ধ আইফেল টাওয়ার

ফ্রান্সে মূল্যবৃদ্ধি ও পেনশন সংস্কারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ধর্মঘট ডেকেছিল বামপন্থি ট্রেড ইউনিয়নগুলো। এ কারণে বিদ্যুৎক্ষেত্রের কর্মীসহ অনেক সেক্টরের কর্মী কাজ করেননি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ফ্রান্সের আইকনিক আইফেল টাওয়ার।

রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ধর্মঘটের প্রভাব গিয়ে পড়েছে স্কুল-কলেজের ওপর। কেননা অনেক শিক্ষকও পেনশন সংস্কারের জন্য এ ধর্মঘটে যোগ দেয়। তাছাড়া ধর্মঘটের জন্য প্যারিসে ১০টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে একটি বন্ধ ছিল।

এছাড়া তেল শোধনাগার, পরমাণু কেন্দ্র, পরিবহন ব্যবস্থাতেও ধর্মঘটের ভালোরকম প্রভাব পড়েছে। প্যারিসের বাস এবং ট্রেন চলাচলও বিঘ্নিত হয়েছে। তবে প্যারিসের মেট্রো রেল চলাচলের ক্ষেত্রে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েনি।

ট্রেড ইউনিয়নগুলির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট মাক্রোঁ যদি অবসরের বয়স বাড়িয়ে ৬২ থেকে ৬৪ বা ৬৫ করার সিদ্ধান্তে স্থির থাকেন তাহলে সামাজিক অস্থিরতা তৈরি হতে পারে।

ইউনিয়নের নেতা ফিলিপ মার্টিনেজ বলেছিলেন, আমাদের জন্য এটা আন্দোলন শুরু হওয়া ছাড়া আর কিছুই নয়।

জানা যায়, ফ্রান্সে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর ওপর বেতনবৃদ্ধির প্রবল চাপ তৈরি হয়েছে। কেননা সাম্প্রতিক ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম অনেকটায় বেড়ে গেছে।

ফলে দেশটির ট্রেড ইউনিয়নগুলো এখন সোচ্চার হয়ে উঠছে। বেতন বাড়াবার দাবি তুলেছে সব ইউনিয়ন।

বামপন্থি ট্রেড ইউনিয়নগুলো এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়াই বিদ্যুক্ষেত্রের শ্রমিকসহ অনেকে কাজে যোগ দেয়নি। ফলে বন্ধ হয়ে যায় আইফেল টাওয়ার। দিনভর বন্ধ ছিল এটি। প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার মানুষ আইফেল টাওয়ার দেখতে যান।

এসএইচ-২১/৩০/২২ (অনলাইন ডেস্ক)