তুতেনখামেনের শাশুড়ির ৩৩০০ বছরের পুরোনো শরীরের সন্ধান?

আলোচিত ফারাও রাজা তুতেনখামেনের মমি আবিষ্কারের ১০০ বছর পরও তা নিয়ে আজও চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ। এবার শোনা যাচ্ছে, মিশরের সর্বকালের সেরা সুন্দরী রানি নেফারতিতির মমি আবিষ্কারের সম্ভাবনার কথা।

ব্রিটিশ সংবাদপত্র ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ৩ হাজার ৩০০ বছর আগের কিশোর রাজা ফারাও তুতেনখামেনের সমাধির কাছে কোনো গোপন কুঠুরিতে থাকতে পারে তার শাশুড়ি তথা সৎমা নেফারতিতির মমি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক বছর আগে তুতেনখামেনের সমাধিতে ইউরোপীয় গবেষকদলের অনুসন্ধানে ওই গোপন কক্ষের সন্ধান মিলেছে। এ ছাড়া তুতেনখামেনের সমাধির একটি ছবিতে দেখা গেছে, নেফারতিতিকে সমাধিস্থ করছেন তুতেনখামেন।

মিশরের উদ্যোগে নীল নদের তীরবর্তী শহর লুক্সরের আশপাশে, সম্প্রতি এক প্রত্নতাত্ত্বিক অভিযানে প্রাপ্ত পুরাকীর্তিগুলো, রাজা তুতেনখামেনের অলংকারের মতো বলে জানানো হয়েছে। একই অভিযানে লুক্সরের পশ্চিম তীরে একটি মমি আবিষ্কৃত হয়। এই মমিটিই নেফারতিতির বলে ধারণা করছেন মিশরীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ জাহি হাওয়াস।

মূলত জাহি হাওয়াস এ অভিযানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তাদের কাছে অভিযানে পাওয়া ‘কেভি২১এ’ ও ‘বি’ নামে দুটি অ-শনাক্ত মমির ডিএনএ-ও সংরক্ষিত রয়েছে। এদিকে অক্টোবরে তুতেনখামেনের স্ত্রী আনখেসেনামুন ও তার সৎমা নেফারতিতির মমি আবিষ্কারের বিষয়টি চূড়ান্তভাবে নিশ্চিত করতে পারবেন বলে জানিয়েছেন হাওয়াস।

তবে ৩ হাজার ৩০০ বছর ধরে তুতেনখামেনের সমাধির ভেতর লুকিয়ে থাকা কক্ষ সন্ধানের কাজ শুরু হয়েছিল কয়েক বছর আগেই। সেই সময় তুতেনখামেনের মতোই নেফারতিতির সমাধিতেও বিপুল পরিমাণ ধনসম্পদ থাকতে পারে বলে জানিয়েছিলেন ব্রিটিশ মিউজিয়ামের মিশর সংক্রান্ত বিভাগের সাবেক প্রধান নিকোলাস রিভস। এ ছাড়া নেফারতিতির মমির সন্ধান পেতে নিকোলাসের উদ্যোগে গত দেড় দশকে পরীক্ষা করা হয়েছে ফারাও বংশের একাধিক মমির ডিএনএ।

এদিকে তুতেনখামেন ছিলেন ফারাও আখেনাতেনের জামাই। আখেনাতেনের স্ত্রী ছিলেন সুন্দরী নেফারতিতি। তাদের পুত্রসন্তান ছিল না, ছিল সাত কন্যা। এদেরই একজনকে বিয়ে করেছিলেন তুতেনখামেন। তিনি ছিলেন মিশরের ১৮তম রাজবংশের সবচেয়ে কম বয়সী কিশোর সম্রাট। যার মৃত্যু হয় মাত্র ১৯ বছর বয়সে।

এসএইচ-০৮/০২/২২ (অনলাইন ডেস্ক)