হিজাববিহীন নারীকে সেবা দিয়ে চাকরি হারালেন ব্যাংক কর্মকর্তা

হিজাববিহীন এক নারীকে সেবা দিয়ে চাকরি হারিয়েছেন ইরানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি ব্যাংকের ম্যানেজার। হিজাব ইস্যুতে ইরানজুড়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনের মাঝেই রোববার দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ‘মেহের’ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, রাজধানী তেহরানের কাছে কোম প্রদেশের ব্যাংক ম্যানেজার বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) একজন হিজাববিহীন নারীকে সেবা দিয়েছেন।

কোম প্রদেশের ডেপুটি গভর্নর আহমদ হাজিজাদেহের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ফলস্বরূপ গভর্নরের নির্দেশে ওই ব্যাংক ম্যানেজারকে তার পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছে।

হিজাব ছাড়া ব্যাংকে প্রবেশ করে ওই নারীর সেবাগ্রহণের একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এরপরই ব্যাংক কর্মকর্তাকে অপসারণের ঘটনা ঘটল।

হাজিজাদেহ বলেন, ইরানে বেশিরভাগ ব্যাংক রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন। ফলে হিজাব আইন বাস্তবায়ন করা এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারদেরও দায়িত্ব রয়েছে।

গত ১৬ সেপ্টেম্বর ইরানে পুলিশি হেফাজতে তরুণী মৃত্যুর পর থেকেই দেশটিতে বিক্ষোভ করছে লাখো মানুষ। যা রূপ নিয়েছে সরকারবিরোধী আন্দোলনে। চলমান বিক্ষোভে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সহিংসতায় এরইমধ্যে তিন শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন। নিরীহ মানুষের পাশাপাশি বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যও হতাহত হয়েছেন।

শরিয়া অনুসারী ইরানের আইনে বলা আছে, নারী তাদের চুল হিজাব দিয়ে ঢেকে রাখবে এবং লম্বা ঝুলের পোশাক পরবে। সেই সঙ্গে পোশাক হতে হবে ঢিলেঢালা, যেন তাদের শরীরের বাঁক স্পষ্ট না হয়ে ওঠে।

১৯৭৯ সালে ইসলামি বিপ্লবের মাধ্যমে ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থিত রাজতন্ত্রের পতন হয়। এর চার বছর পর দেশটিতে হিজাব পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়।

এসএইচ-১৪/২৭/২২ (অনলাইন ডেস্ক)