প্রেমিকাকে খুশি করতেই চুরিবিদ্যায় হাত পাকান প্রেমিক

প্রেমিকা চান ঝকঝকে ছবি। সেজন্য দরকার ডিএসএলআর ক্যামেরা। প্রেমিকার শখ অপূর্ণ রাখেননি প্রেমিক। জানা মাত্রই প্রেমিকার জন্য ক্যামেরা নিয়ে হাজির।

দামি রেস্তোরাঁয় ক্যান্ডেল লাইট ডিনার, দামি উপহার থেকে নামকরা হোটেলে রাতযাপন—সব শখই পূরণ করেছেন প্রেমিক। তবে প্রেমিকার জন্য প্রেমিক সবই করেছেন চুরি করে!

প্রেমিক চোরের কথায় হতবাক পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে যতই তথ্য বেরিয়ে আসছে, ততই অবাক হচ্ছেন তদন্তকারীরা।

গেল রোববার আগে নদিয়ার ধুবুলিয়ায় এক চুরির ঘটনায় অভিজিৎ সরকার নামে এক যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তিনি ধুবুলিয়ারই বাসিন্দা। খবর আনন্দবাজার।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসছে অবাক করা সব তথ্য।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দামি ক্যামেরা থেকে সামান্য থালা— সব জিনিসই এই যুবকের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ইতোমধ্যে তার কাছ থেকে ক্যামেরা, লেন্সসহ অন্যান্য চুরি করা সামগ্রী উদ্ধার করেছে পুলিশ।

তিনি নাকি স্বীকার করেছেন, পুরোটাই ভালবাসার জন্য। প্রেমিকাকে খুশি করতেই চুরিবিদ্যায় হাত পাকিয়েছেন।

ধুবুলিয়ায় একের পর এক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ বুঝতে পারে, এই কাজ কোনো বড় মাপের অপরাধীর না। কারণ, এই চোরের ঝোঁক সস্তা থেকে দামি সব জিনিসে। যেখানে সিসিটিভি নেই, সেখানেই হয়েছে চুরি। তদন্তে নেমে পুলিশের সন্দেহ হয় অভিজিতের ওপর।

তদন্তকারীরা বলছেন, ওই এলাকার বেশ কয়েকজন যুবকের আয়ের সঙ্গে সঙ্গতিহীন এবং বিলাসবহুল জীবনযাপন তাদের সন্দেহ বাড়িয়ে দেয়। তাই বেশ কয়েকজনকে চিহ্নিত করে চালানো হয় নজরদারি। শেষে রবিবার অভিজিৎকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণনগরের একটি প্রথম সারির কলেজ থেকে স্নাতক শেষ করেছেন অভিজিৎ। বেশ সচ্ছল পরিবার। শুধুমাত্র প্রেমিকার বিলাসবহুল জীবনের চাহিদা মেটাতেই অপরাধমূলক কাজ করেছেন তিনি।

কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) কৃষাণু রায় বলেন, তদন্তের ভিত্তিতে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তে এগোচ্ছে পুলিশ।

এসএ-১৬/২২/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)