বয়স মাত্র ১১। কিন্তু এই বয়সেই কোটিপতি। তবে পৈতৃক সম্পত্তির জোরে নয়। এই রোজগার ওই খুদের একেবারে নিজস্ব। মূলত ইউটিউব থেকেই তাঁর এই আয়। তবুও এই বয়সে এমন উপার্জন নজিরবিহীন।
এই বয়সে সাধারণত খেলাধুলো করেই কাটে। বন্ধুদের সঙ্গে হুল্লোড়, জোর করে পড়তে বসা কিংবা আঁকা গান এইসব নিয়ে মেতে থাকা। বর্তমানের সাপেক্ষে বললে, এর সঙ্গে অবশ্যই যোগ হবে মোবাইল ফোন আর টিভি। কিন্তু ভাবতে পারেন, কোনও ১১ বছরের শিশু মোটা টাকা রোজগার করছে?
শুনতে অবাক লাগলেও সত্যি। বাস্তবে ঘটেছে ঠিক তেমনই ঘটনা। মাত্র ১১ বছর বয়সেই প্রতি মাসে মোটা টাকা রোজগার করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে এক খুদে। ইতিমধ্যেই সে ৪১০ কোটি টাকার মালিক। মাসিক রোজগারও কয়েক কোটি। ভাবছেন তো কার কথা বলছি?
ইউটিউবের জনপ্রিয় মুখ শফা। যদিও তার ভালো নাম শফিয়া। কিন্তু চ্যানেলের দৌলতে শফা নামেই সে অধিক পরিচিত। খুবই অল্প বয়সে ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে আপলোড করত শফা। যদিও এক্ষেত্রে বয়সজনিত বাধা থাকত ইউটিউবের তরফে। তাই যাবতীয় টেকনিক্যাল কাজ সামালাতেন শফার বাবা-মা। সেইভাবেই এখনও ভিডিও বানায় শফা। আর সেই ভিডিও ইউটিউবের দৌলতে সকলের কাছে পৌঁছে দেন তার বাবা-মা। মূলত সাধারণ কোনও বিষয়ের উপরই ভিডিও বানায় শফা।
এইটুকু বয়সেই তার গুছিয়ে কথা বলার ধরণ দেখেই আকৃষ্ট হন অনেকে। এর জেরে শফার ফ্যানের সংখ্যাও নেহাতই মন্দ নয়। তার চ্যানলটির সাবস্ক্রাইবারও কয়েক লক্ষ। তাই সেখান থেকে রীতিমতো মোটা টাকা উপার্জন হয় সফার। সে প্রতিদিন কী করছে, কী নিয়ে খেলছে কিংবা কীভাবে তার জন্মদিন উদযাপন হল এই সবকিছু নিয়েই ভিডিও বানায় শফা।
আর সেইসব ইউটিউবে দেখার জন্য মুখিয়ে বসে থাকেন তার ফ্যানেরা। ইউটিউবের নিয়ম অনুযায়ী, ভিডিওটা কতজন দেখলো এর উপর নির্ভর করে কত টাকা সেখান থেকে পাওয়া যাবে। আর শফার যেকোনও ভিডিও কয়েক ঘন্টার মধ্যে লক্ষ লক্ষ মানুষ দেখে ফেলেন। সেই হিসেবেই এতটাকা রোজগার হয় শফার। বর্তমানে তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৪১০ কোটিরও বেশি। যার মধ্যে গত একমাসে তার রোজগার হয়েছে কয়েক কোটি টাকা।
অনেকেই খুদের এই কৃতিত্বে বেশ অবাক। বিশেষত এইটুকু বয়সেই সে যেভাবে ভিডিও তৈরির ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে তা প্রশংসনীয় মনে হয়েছে অনেকেরই। তাই শুধু ফ্যানমহল নয়, শফার গুণগান গেয়েছেন অনেকেই। সমবয়সীদের মধ্যেও যথেষ্ট জনপ্রিয় শফা। অনেক খুদেই তার এই জনপ্রিয়তা দেখে অনুপ্রেরণা পায়। তারাও একদিন এমন সফলতা পাবে, এই স্বপ্ন দেখে অনেক খুদেই।
এসএইচ-১৪/০২/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)