ঘুরতে গেলেই মিলবে অবাধ যৌনতার সুযোগ!

ঘুরতে যাওয়ার প্রথম পছন্দ, পাহাড় কিংবা সমুদ্র। দেশ বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে, মানুষ স্রেফ ছুটে যান প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে। কিন্তু বিশ্বে এমনও কিছু দেশ রয়েছে যেখানে ঘুরতে যাওয়ার আসল উদ্দেশ্য যৌনতা। এইসব দেশে অবাধ যৌনতার সুযোগ রয়েছে। তাও লুকিয়ে নয়, একেবারে প্রকাশ্যে যৌনতার অভ্যাসও রয়েছে বিশ্বের বেশ কিছু দেশে।

‘সেক্স ট্যুরিজম’, শব্দটা অনেকের কাছেই হয়ত অচেনা। কিন্তু এর উপর ভর করেই অর্থনীতি মজবুত করার চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের কিছু দেশ। এইসব দেশগুলি পর্যটকদের কাছে বিশেষভাবে আকর্ষনীয় স্রেফ অবাধ যৌনতার সুবাদেই। সরকারের তরফে প্রকাশ্য যৌনতা নিয়েও বিশেষ বাধা নেই। কারও ক্ষতি না করে যদি কোনও যুগল যৌনতায় মাততে চান তাহলে কোনওভাবেই বাধা দেয় না এইসব দেশের প্রশাসন। সেইসঙ্গে এইসব দেশে যৌনব্যবসাও রমরমিয়ে চলে। বিভিন্ন দেশ থেকে যৌনকর্মীরা এসেও ভিড় জমান এই অবাধ যৌনতার দেশগুলিতে। পর্যটকদের কাছেও যা আলাদা মাত্রা যোগ করে। আখেরে লাভ হয় ওইসব দেশের সরকারের। পর্যটকদের বিনোদনের জেরে আরও মজবুত হয় তাদের অর্থনৈতিক অবস্থা।

এই ধরনের পর্যটনকেই সেক্স ট্যুরিজম আখ্যা দিয়েছেন কেউ কেউ। সাম্প্রতিক এক সমীক্ষাও জানাচ্ছে, দেহব্যবসায় লেনদেনের জেরে বিশ্বের বহু দেশের অর্থনীতির হাল পালটে যাচ্ছে। আর সেই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে থাইল্যান্ড। সমীক্ষা অনুযায়ী, এখানে ঘুরতে আসা ৭০ শতাংশ পর্যটক স্রেফ যৌনতার টানেই ছুটে আসেন। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রয়েছে একাধিক ক্লাব ও স্পা। যেখানে সহজেই যৌনতার সুযোগ পান পর্যটকেরা। শুধু তাই নয়, এখানকার রাস্তাঘাটেও এমন কিছু অনুষ্ঠান হয়, যা প্রকাশ্য যৌনতার থেকে কোনও অংশে কম নয়। এরপর রয়েছে নেদারল্যান্ডস।

এই দেশে মূলত দেহব্যবসায়ীদের আধিক্যই চোখে পড়ে। সমীক্ষা জানাচ্ছে, বিগত কয়েকবছরে এই দেশের অর্থনীতির হাল অনেকটাই ফিরেছে স্রেফ এই দেহব্যবসার উপর ভর করে। প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পর্যটক এই দেশে বেড়াতে আসেন যৌনতার টানেই। রাজধানী অ্যামস্টারডামেই যদিও এই রমরমা চোখে পড়ার মতো, তবু নেদারল্যান্ডসের অন্যান্য প্রদেশেও অবাধ যৌনতার সুযোগ রয়েছে।

তালিকায় রয়েছে ফুটবলের দেশ আর্জেন্টিনাও। তবে অবশ্যই বলতে হয় স্পেনের কথা। অনেকেই এই দেশকেই ‘ইউরোপের যৌনপল্লী’ হিসেবে আখ্যা দেন। সমীক্ষা অনুযায়ী, এখানে প্রায় ৪ লক্ষ যৌনকর্মী সক্রিয়ভাবে কাজ করেন। তাই দেশবিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকেরা ছুটে আসেন যৌনতার টানেই। এখানেই শেষ নয়, ব্রাজিল, কম্বোডিয়া, ফিলিপিন্স সহ একাধিক দেশে এই সুযোগ মেলে। শুধুমাত্র প্রকৃতির টানেই নয়, নিজেদের যৌনপীপাসা মেটাতেও যে কেউ ঘুরতে যেতে পারে, তা প্রমান করে দেয় এইসব দেশের ঘুরতে আসা পর্যটকেরা।

এসএইচ-০৯/০৫/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)