কয়েক বছর ধরেই পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল সিঙ্গাপুর পার্লামেন্টের স্পিকার ও একজন নারী সদস্যের। তাদের সেই সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হলেও সাড়া দেননি। অবশেষে সরে দাঁড়িয়েছেন পদ থেকে।
সোমবার এ তথ্য জানান সিঙ্গাপুরের প্রধানমন্ত্রী লি সাইন লুং। তিনি বলেন, অভিযুক্তদের নিজেদের সম্পর্ক ছিন্ন করতে বলা হয়েছিল, কিন্তু তারা রাজি হননি। এর পরিপ্রেক্ষিতে পদত্যাগ করেছেন তারা।
সিঙ্গাপুরে অনেকদিন ধরেই ক্ষমতায় আছে পিপল অ্যাকশন পার্টি (পিএপি)। দলের উচ্চ পর্যায়ের এমন পদত্যাগের ঘটনায় বড় এক ধাক্কা খেল তারা। এর আগে দলের একজন মন্ত্রীর বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছিল।
প্রধানমন্ত্রী লি জানিয়েছেন, আগামী মাসেই নতুন স্পিকারের নাম ঘোষণা করা হবে। তবে এখনও আগাম নির্বাচন ঘোষণার মতো পরিস্থিতি আসেনি। তিনি বলেন, পার্লামেন্ট স্পিকার ট্যান চুয়া জিন এবং আইনপ্রণেতা চেং লিং হুইয়ের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন তিনি। তিনি আশা করেন সব আইনপ্রণেতা তাদের পদের যথার্থতা ও ব্যক্তিত্ব বজায় রাখবেন যা চুয়া জিন ও চেং লিং রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন।
লি বলেন, ২০২০ সালের জাতীয় নির্ভাচনের পরপরই তিনি তাদের সম্পর্কের কথা জানতে পারেন এবং তখনই এটি থামানোর পরামর্শ দেন। কিন্তু তারা তাদের এই সম্পর্ক চালিয়ে যান। চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে আবার তাদের সতর্ক করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি এটা ঠিক নয়। ক্ষমতাসীন দলকে পার্টির নিয়ম ও নীতির একটা মানদণ্ড বজায় রাখা জরুরি।’
লি জানান, ১৯৬৫ সালে স্বাধীনতার পর থেকেই ক্ষমতায় আছে পিএপি। এমন অসংখ্য অভিযোগ দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এসেছে এবং সেগুলো সামাল দেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি পরিবহনমন্ত্রী এস. ইসওয়ারানের বিরুদ্ধে তদন্তেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কর্মকর্তারা আরও দুইজন নেতার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ নিয়েও তদন্ত করছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোনও কাঠামোই ত্রুটিবিহীন নয়। আমি আশা করছি যে আমি সেটা ঠিক রাখতে পারবো এবং সামনের সময়গুলোতেও তা সমুন্নত থাকবে।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে চুয়া জিনকে আরেকজন আইনপ্রণেতাকে অসম্মান করতে দেখা গেছে। পরে অবশ্য তিনি এই অসংসদীয় আচরণের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী লি সিঙ্গাপুরবাসীদের আহ্বান জানিয়েছেন যেন চুয়া চির, চেং ও তাদের পরিবারকে এই ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার সময় দেওয়া হয়।
এসএইচ-০৬/১৭/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)