পোল্যান্ডের অনেক বিড়াল বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। আজ সোমবার এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, মানুষের মধ্যে এই রোগ ছড়ানোর ঝুঁকি এখনও সেখানে কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, পোলিশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ গত মাসে দেশজুড়ে বিড়াল মৃত্যুর অস্বাভাবিক হারের বিষয়টি জানিয়েছিল। টেস্ট করে জানা গেছে, অন্তত ২৯টি বিড়াল বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, আক্রান্ত বিড়ালগুলোর মধ্যে ১১টি মারা গেছে আর ১৪টি বিড়ালকে সংক্রমণের আশঙ্কায় মেরে ফেলা হয়েছে। সর্বশেষ বার্ড ফ্লুতে আক্রান্ত হয়ে বিড়াল মারা গেছে ৩০ জুন।
এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, বিড়ালের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার কারণ এখনও আমাদের অজানা।
২০২১ সালের শেষ দিকে ইউরোপে ভয়াবহ আকার ধারণ করে বার্ড ফ্লু। উত্তর আমেরিকা ও লাতিন আমেরিকাতেও সেসসময় ছড়িয়ে পড়ে েএই রোগ। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি পোল্ট্রি মুরগী মেরে ফেলা হয়।
এখন এই রোগটি স্তন্যপায়ীদের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে দেখা যাচ্ছে। জাতিসংঘের স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিড়ালের মধ্যে এই ভাইরাসের এত বড় আক্রমণ আগে দেখা যায়নি। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই প্রথমবারের মতো কোনও নির্দিষ্ট ভৌগলিক এলাকায় এত বড় সংখ্যক আক্রান্তের খবর পাওয়া গেল।’
১২ জুলাই পর্যন্ত বিড়াল থেকে কোনও মানুষের শরীরে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কোনও খবর পাওয়া যায়নি। পোল্যান্ডে এই ঝুঁকি খুব কম বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। বিড়ালের মালিক, ডাক্তারসহ যারা সংস্পর্শে আসছেন তাদের সুরক্ষা ব্যবস্থা অনুসরণের অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
মানবশরীরের বার্ড ফ্লু সংক্রমণ খুব বেশি হয় না। কিন্তু যখন হয় তখন তা মারাত্মক রুপ ধারণ করে। সাধারণ দূষিত পরিবেশ কিংবা সংক্রমিত মরা মুরগী থেকে এই রোগ মানব শরীরে প্রবেশ করতে পারে।
ডব্লিউএইচও’র হিসেব অনুযায়ী ২০২০ সালের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২ জনের শরীরে এই ভাইরাস পাওয়া গেছে যাদের মধ্যে চারজনের খুবই মারাত্মক অবস্থা ছিল।
এসএইচ-০৭/১৭/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)