প্রেমের টানে সীমান্ত পেরিয়ে বৈরি দেশ পাকিস্তানে ছুটে গেলেন এক ভারতীয় নারী। রোববার ভারতের পুলিশ জানায়, পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখয়াতে পাড়ি জমিয়েছেন অঞ্জু নামের ওই নারী। ৩৪ বছর বয়সী অঞ্জু ২৯ বছর বয়সী নাসরুল্লাহর সঙ্গে দেখা করতে সেখানে যান। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের এক প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা যায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, অঞ্জুর কাছে সব বৈধ কাগজপত্র ছিল। তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি নাসরুল্লাহকে ভালোবাসেন। অঞ্জু বলেন, ফেসবুকে তাদের প্রথম পরিচয় হয়। এরপর দিনে দিনে গাঢ় হয় বন্ধুত্ব। একটা সময় এই বন্ধুত্বই রূপ নেয় প্রেমে। এই প্রেমের কারণেই তিনি নিজ দেশ ছেড়ে পাকিস্তানে চলে আসেন।
সম্প্রতি এরকমই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতেও। সেখানে প্রেমের টানে পাড়ি জমিয়েছে পাকিস্তানি নারী সীমা হালদার। তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে পুলিশ। সীমার সঙ্গে তার চার সন্তানও ছিল বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে।
ডনের প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানি কর্মকর্তারা তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্কের কথা নিশ্চিত করেছেন। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী অঞ্জু ২২ জুলাই পাকিস্তানের আপার দির জেলায় পৌঁছান। জেলার পুলিশ কর্মকর্তা জানান, তার কাছে পাকিস্তানে যাওয়ার সব বৈধ কাগজপত্র ছিল।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে অঞ্জুকে একজন ‘ডিভোর্সি’ হিসেবে উল্লেখ করলেও ভিন্ন কথা বলছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে বলা হয়, অঞ্জুর স্বামী আছে এবং তার সঙ্গে কথা বলেই তিনি বাইরে গিয়েছেন। নাসরুল্লাহকে তিনি বিয়ে করতে যাননি।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর অঞ্জুর বাড়িতে গিয়েছেন রাজস্থান পুলিশ। তার স্বামী অরবিন্দ বলেন, বৃহস্পতিবার জয়পুর যাওয়ার কথা বলে তিনি হয়েছেন। পরে জানতে পারেন যে অঞ্জু লাহোর আছে।
অরবিন্দ জানান, ২০০৭ সালে তাদের বিয়ে হয়েছে এবং তখন থেকেই তারা একসাথে আছেন। তার পাকিস্তানে যাওয়া নিয়ে পরিবারের কোনও অভিযোগ নেই। অরবিন্দ আশাবাদী অঞ্জু নিশ্চয়ই ফিরে আসবেন। তাদের ১৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ছয় বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে।
এর আগে গত ৪ জুলাই ভারতের প্রবেশ করার কারণে সীমা হালদারকে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। পরে ৭ জুলাই তাকে জামিন দেওয়া হয়। এখন সীমা ও শচীন দিল্লির কাছেই রাবুপুরা এলাকায় একটি দোকান চালাচ্ছেন। ভারতীয় রাষ্ট্রপতি দৌপর্দী মুর্মুর কাছে চিঠি লিখে ভারতের নাগরিকত্ব চেয়েছেন সীমা।
এসএইচ-০৭/২৪/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)