প্রেমিকের হাত ধরে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে এসেছিলেন বাংলাদেশি এক বিবাহিত নারী। পেতেছিলেন ভালোবাসার সংসার। কিন্তু সংসার স্থায়ী হওয়ার আগেই ভারতে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ওই বাংলাদেশি নারীকে। আপাতত কারাগারের চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দী ওই বাংলাদেশি নারী। অন্যদিকে পুলিশি অভিযানের খবরে আগেভাগেই পালিয়ে গেছেন ভালোবাসার প্রেমিক।
এমনই ঘটনা ঘটেছে ভারতের ত্রিপুরার ধর্মনগর জেলার ফুলবাটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে- ভুক্তভোগী বাংলাদেশি নারীর নাম ফাতেমা নুসরাত। ২৪ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নারী সিলেট জেলার মৌলভীবাজারের বাসিন্দা। তার স্বামীর নাম আব্দুল মুমিন। তিন বছরের এক সন্তানও রয়েছে তাদের।
এদিকে পেশায় একজন গ্রাম্য কবিরাজ চিকিৎসক ৩৪ বছর বয়সী নুর জালাল ওরফে সাদ্দামের বাসা আসাম-ত্রিপুরা সীমান্তবর্তী এলাকার উত্তর ত্রিপুরার ধর্মনগর মহকুমার পূর্ব ফুলবাড়ী গ্রামে। তার বিরুদ্ধে আগেও একাধিক প্রতারণার মামলা রয়েছে। বিভিন্ন অপকর্মের জন্য সম্প্রতি আগরতলায় উন্মত্ত জনতার হাতে তাকে নিগৃহীত হতে হয়েছিল। এলাকায় ভালো করতে না পেরে নিজের পেশাগত কাজেই মাঝেমধ্যেই তাকে বাংলাদেশে যেতে হতো। আর সেখানেই দুই মাস আগে তার সাথে পরিচয় হয় ফাতেমার, পরে সেই সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে।
পুলিশের কাছে নুসরাত জানায় বাংলাদেশে গেলেই মৌলভীবাজারে তার শ্বশুর বাড়িতে যেতেন নূর জালাল এবং প্রায় প্রতিদিনই তাদের দুজনের মধ্যে সাক্ষাৎ হতো। ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক যখন গাঢ় হয়, তারা স্থির করেন উভয়ই উভয়কে বিয়ে করবেন। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ফাতেমার আগের বিয়ে। স্বাভাবিকভাবে ফাতেমা স্থির করে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে ভারতে পালিয়ে এসে বিয়ে করবেন এবং সেখানেই নতুন সংসার পাতবেন। যেমন ভাবা তেমনি কাজ!
সম্প্রতি ভারতীয় প্রেমিকের হাত ধরেই বাংলাদেশ থেকে ভারতের ত্রিপুরায় নূর জালালের পূর্ব ফুলবাড়ী গ্রামের বাড়িতে এসে ওঠেন ফাতেমা। গত প্রায় ১৫ দিনের বেশি সময় ধরে সেখানেই ছিলেন বসবাস করছিলেন তিনি। বিষয়টি পাঁচ কান হতে সময় নেয়নি। নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে গত বুধবার রাতে নূর জালালের বাড়িতে অভিযান চালায় পুলিশ। আটক করা হয় ফাতেমাকে। যদিও পুলিশের চোখকে ফাঁকি দিয়ে গা ঢাকা দেয় নূর জালাল পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যায়।
এসএইচ-০৭/২৯/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)