চুমুকাণ্ডের পর অবশেষে ক্ষমা চাইলেন ক্রোয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গর্ডান গ্রিলিক রাডম্যান। গত ২ নভেম্বর জার্মানির বার্লিনে অনুষ্ঠিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) বৈঠকের সময় জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবককে চুমু দিয়ে স্বাগত জানানোর পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন রাডম্যান। সেই সমালোচনার জেরে রোববার তিনি ক্ষমা চান। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটোকো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গর্ডান গ্রিলিক রাডম্যান বলেন, ‘জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী চুম্বনের মাধ্যমে অপমান করেছি বলে অনেকে সমালোচনা করছেন। আমি বুঝতে পারছি না এখানে অপমান কোথায়।’
ক্রোয়েশিয়ার স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকদের রাডম্যান বলেন, আমরা মন্ত্রীরা সবসময় একে অপরকে আন্তরিকভাবে অভিবাদন জানাই। এ বিষয়টিকে কেউ যদি খারাপভাবে দেখে, তার জন্য আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, ইইউয়ের বৈঠকে অংশ নেওয়া বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা একটি গ্রুপ ছবি তোলার জন্য গণমাধ্যমের ফটো সাংবাদিকদের সামনে জড়ো হন। তখন ক্রোয়েশিয়ান পররাষ্ট্রমন্ত্রী জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবকের সঙ্গে করমর্দনের জন্য এগিয়ে যান এবং হঠাৎ করে সামনে ঝুঁকে বেয়ারবকের গালে চুমু দেন। জার্মান মন্ত্রীও হেসে প্রত্যুত্তর দেন।
এরপর সংবাদ সম্মেলেন এ চুমুর ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে বেয়ারবক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ক্রোয়েশিয়ার সাবেক প্রধানমন্ত্রী জাদরাঙ্কা কোসোর এ চুমু নিয়ে রাডম্যানের সমালোচনা করেন। তিনি এক্সে (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ‘নারীদের জোরপূর্বক চুম্বনকেও সহিংসতা বলা হয়, তাই না?’
এর আগে বিশ্বকাপজয়ী জেনি হারমোসোর ঠোঁটে জোরপূর্বক চুমু খাওয়ার পর ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন স্প্যানিশ ফুটবলার লুইস রুবিয়ালেস। গত মাসে ফিফা তাঁর ওপর তিন বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এসএইচ-০২/০৬/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)