ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কিশোরী মেয়েকে ভর্তি করান এক বাবা। কিন্তু এরপরেও কোনোভাবেই সুস্থ হয়ে উঠছে না সে। তাকে ঠিকমতো চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না বলে দাবি করে কিশোরীর পরিবার। তাই হাসপাতালে যেন ভালোমতো চিকিৎসা হয়- এমন আকুতি নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রীয় পা জড়িয়ে কান্নাকাটি করেন কিশোরীর বাবা-মা।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, মেদিনীপুরের ঝর্ণাডাঙার বাসিন্দা রিঙ্কু রায়। অ্যাপেনডিক্সের যন্ত্রণায় দিশেহারা হয়ে পড়েছিল তার কিশোরী মেয়ে। গত শুক্রবার সেই সমস্যা নিয়ে তাকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাত ও শনিবার সকালে দুইবার অস্ত্রোপচার হয় ১৩ বছরের ওই কিশোরীর। কিন্তু তারপরও সুস্থ হচ্ছিল না। এরপর তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। রবিবার সকালে রিঙ্কুকে জানানো হয়, তার মেয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এরপরই কান্নায় ভেঙে পড়ে তার পরিবার।
সেইদিন অন্য কয়েকজন রোগীকে দেখতে হাসপাতালে যান মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। তাকে কাছে পেয়ে হাত-পা ধরে মেয়ের সুচিকিৎসার আর্জি জানান রিঙ্কুদেবীর স্বামী। তিনি বলেন, ‘মেয়েটাকে বাঁচিয়ে দিন।’
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে মেয়েটির সুচিকিৎসা হয়নি। তাদের এই অবস্থা দেখে বীরবাহা প্রথমে হতবাক হয়ে যান। পরে তিনি অভিভাবকদের জড়িয়ে ধরে সান্ত্বনা দেন। বীরহাবা বলেন, ‘আমি হাসপাতালে ঢুকে মেয়েটিকে দেখেছি। চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেছি। চিকিৎসা যেন ভালো করে হয় তা নিয়েও কথা হয়েছে। মায়েদের অসহায়তা বুঝি আমি।’
কিন্তু এতকিছুর পরেও শেষরক্ষা হয়নি। রোববার রাতে হাসপাতালেই মৃত্যু হয় ওই কিশোরীর। কিশোরীর মৃত্যুর পর রবিবার রাতেই হাসপাতালে উত্তেজনার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। তবে পরবর্তী সময় স্থানীয় তৃণমূল জেলা সভাপতির আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
এসএইচ-০৪/১১/২৩ (অনলাইন ডেস্ক)