গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল গৃহবধূর মরদেহ

গৃহবধূর

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে ফসলের মাঠে গাছের সঙ্গে বাঁধা অবস্থায় এক গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গাছের সঙ্গে বাঁধা ছিল গৃহবধূর মরদেহ।

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার তারাপুর ইউনিয়নের চর খোর্দ্দা গ্রাম থেকে গৃহবধূ নুরভানুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই গ্রামের ধান ক্ষেতের পাশে থাকা ইউকিলিপটাস গাছের গোড়ায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় পড়ে ছিল তার লাশ।

নুরভানু বেগম ওই এলাকার শাহেব আলীর মেয়ে ও রংপুর জেলার পীরগাছা উপজেলার রহমতের চর গ্রামের আব্দুর রশিদ মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। তার একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।

তার লাশের চারপাশে আমন ক্ষেত। কিন্তু তার শরীরে কোনো কাঁদা বা মাটির কোনো চিহ্ন নেই বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। যে গাছটির গোড়ায় ওড়না দিয়ে পেঁচানো সেটাও সাজানো বলে মত অনেকের। অন্য কোথাও হত্যার পর তাকে সেখানে রাখা হতে পারে বলে ধারণা পুলিশের।

স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার দুপুরে নুরভানু বেগম তার স্বামীর বাড়ি থেকে দুইটি গরুসহ তার বাবার বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেয়। পথিমধ্যে গরু দুইটি তার এক চাচাতো ভাইকে দেন। এরপর বাবার বাড়িতে যায় ওই নারী। পরে বুধবার সকালে স্থানীয়রা ওই নারীর মরদেহ ওই গাছের সাথে ওড়না পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ নুরভানু বেগমের লাশ উদ্ধার করে।

স্থানীয়রা আরও বলেন, তার স্বামী ফেনিতে রিকশা চালান। এদিকে এ ঘটনার পর থেকে নুরভানু বেগমের সেই চাচাতো ভাইকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল্লাহিল জামান লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। তবে তার বাম চোখে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এছাড়া অন্য কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি তার শরীরে। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পিবিআই।

এসএইচ-২৬/২৫/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)