বাদীর গোয়ালঘরে এএসআই, বাঁধা হলো গাছের সঙ্গে

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মামলার বাদী প্রবাসীর স্ত্রীসহ পুলিশ সদস্যকে গোয়ালঘরে আটক করে এলাকাবাসী।

সুন্দরগঞ্জের কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) তোফাজ্জল হোসেনকে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করা হয় বলে দাবি এলাকাবাসীর।

এমন ঘটনা অস্বীকার করে মামলার বাদীর দাবি, এটি চক্রান্ত। এদিকে ঘটনার পর তোফাজ্জলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

শুক্রবার মধ্যরাতে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ধর্মপুর (ছড়ারপাতা) গ্রাম থেকে তাকে আটক করে এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে এএসআই তোফাজ্জল হোসেন ছড়ার পাতা গ্রামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর বাড়িতে আসেন। এলাকাবাসীর দাবি, গোয়ালঘরে আপত্তিকর অবস্থায় মামলার বাদী প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে তাকে আটক করা হয়। তোফাজ্জলকে আটকের পর বাড়ির উঠানের একটি আমগাছের সঙ্গে দড়ি দিয়ে বেঁধে পুলিশকে খবর দেয় তারা। খবর পেয়ে সুন্দরগঞ্জ থানা পুলিশ ও কঞ্চিবাড়ি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে।

এলাকাবাসী জানায়, কিছুদিন আগে ওই নারীর স্বামীর সঙ্গে তার ভাইয়ের জমি নিয়ে বিরোধ হয়। পরে ওই নারী বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করেন ভাশুরের বিরুদ্ধে। সেই মামলাটির তদন্তভার পড়ে এএসআই তোফাজ্জল হোসেনের ওপর।

পরে তদন্তে গিয়ে ওই প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে সখ্য গড়েন তিনি। তবে মামলার বাদী অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন গোয়ালঘর থেকে নয়, নিজ বাড়ি থেকেই তাকে গ্রামবাসী আটক করে। এটি একটি চক্রান্ত ছিল।

এ বিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবদুল্লাহিল জামান বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। রাতে কী ঘটেছিল তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। তোফাজ্জলকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

এসএইচ-১২/৩০/২১ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)