গাইবান্ধায় নষ্ট সার দেয়ার অভিযোগ বিসিআইসির বিরুদ্ধে

গাইবান্ধায় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) গোডাউন কর্তৃপক্ষ অধিকাংশই পচা, নষ্ট ও জমাট বাধা সার দিয়েছে, এমন অভিযোগ করেছেন জেলার সার ডিলাররা। এদিকে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান।

জানা গেছে, প্রতি মাসে ব্যবহার অনুপযোগী সার দেয়া হচ্ছে ডিলারদের, যা কৃষকদের সরবরাহ করা যায় না, তারপরেও বাধ্য হয়েই গোডাউন কর্তৃপক্ষের চাপে পচা ও জমাট-বাধা সার নিতে হচ্ছে তাদের। ফলে লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে ডিলারদের।

সার ডিলাররা জানান, গত মাসগুলোতেও এ ধরনের সার সরবরাহ করা হয়েছে। চলতি মাসে ব্যবহার অনুপযোগী সার সরবরাহ করার কথা না থাকলেও বিসিআইসির গাইবান্ধা গোডাউন কর্তৃপক্ষ আবারও তাই করেছে। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা।

গাইবান্ধার বিসিআইসি বাফার গোডাউন ইনচার্জ নজরুল ইসলাম জানান, ব্যবহার অনুপযোগী (পচা, নষ্ট ও জমাটবাধা) সার গাইবান্ধা বাফার গোডাউনে পাঠানো হলে প্রথমে তা গ্রহণ করা হয়নি। পরে বিসিআইসি নির্দেশে সারগুলো গোডাউনের ভেতরে নেয়া হয়। আর এ সারগুলো নষ্ট মনে হলে সরবরাহ করা হবে না।

গাইবান্ধার জেলা প্রশাসক অলিউর রহমান বলেন, কোনোভাবেই গোডাউনে এমন সার থাকার কথা নয়। কোনো ডিলারকেও এই ধরনের সার সরবরাহ করার কথা নয়। যদি এমন কিছু হয়ে থাকে তাহলে ক্ষতিয়ে দেখতে হবে কীভাবে এ সার এলো, কে আনলো, কোন উদ্দেশ্যে তা আনা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিসিআইসির তথ্য মতে, গাইবান্ধা জেলায় সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ৪ হাজার ৪৬৫ মেট্রিক টন সার বরাদ্দ দিয়েছে যা ওই মাসেই সব বিতরণ করা হয়েছে। চলতি মাসে জেলায় সার বরাদ্দ হয়েছে ২ হাজার ৮ মেট্রিক টন। এরমধ্যে ৮০০ মেট্রিক টন সার বিতরণ করা হয়েছে। বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হবে।

এসএইচ-১৭/১৫/২২ (উত্তরাঞ্চল ডেস্ক)