যে লক্ষণগুলো জানান দেবে শরীরে আয়রনের অভাব

যে লক্ষণগুলো জানান

সুস্থ থাকতে দেহে ভিটামিন, মিনারেল ও খনিজের সমন্বয় থাকতে হবে। কোনোটির পরিমাণ কম-বেশি হলে স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটবে। যা ধীরে ধীরে প্রকাশ পাবে। শরীরের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান আয়রন। এটি লোহিত রক্তকণিকা তৈরি করে সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

আয়রনে অনেক ধরনের এনজাইম থাকে এবং এটা বিভিন্ন ধরনের সেলের কার্যকারিতা বজায় রাখে। এনজাইম খাবার হজমে সাহায্য করে এবং শরীরের অন্যান্য কার্যকারিতা বজায় রাখে।

শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে অ্যানিমিয়া বা রক্তশূণ্যতা দেখা দেয়। এই ধরনের সমস্যা শিশু এবং নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে লোহিত কণিকায় বিদ্যমান হিমোগ্লোবিন সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করতে পারে না।

শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে বিভিন্নভাবে তা প্রকাশ পায়। যেমন-

১. অতিরিক্ত ক্লান্ত লাগা শরীরে আয়রনের ঘাটতির অন্যতম উপসর্গ। রক্তশূণ্যতা হলে শরীর দুর্বল লাগে, কাজে মনোযোগী হওয়া যায় না। এছাড়া আয়রনের অভাব হলে মাথাও ঘোরে।

২. এছাড়া ঘন ঘন সংক্রমণ, হাত-পা অতিরিক্ত ঠাণ্ডা হয়ে যাওয়াও শরীরে আয়রনের অভাব প্রকাশ করে।

৩. শরীরে আয়রনের ঘাটতি হলে বিশ্রামরত অবস্থাতেও পায়ে ব্যথা অনুভূত হয়।

৪. আয়রনের ঘাটতির কারণে মাথাব্যথাও হয়। সেই সঙ্গে মাথা চক্কর দেয়। শরীরে আয়রনের অভাব হলে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে যায়। তখন মাথায় চাপ পড়ে আর মাথা ব্যথা হয়।

৫. আয়রনের অভাব হলে হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে হৃদপিণ্ডের উপর চাপ পড়ে। তখন অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বেড়ে যায়। এতে হৃদপিণ্ডের আকার বড় হয়ে যায় এবং হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে।

৭. হিমোগ্লোবিন সারা শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এর মাত্রা কমে গেলে অক্সিজেনের সরবরাহও কমে যায়। তখন নিঃশ্বাস নিতেও কষ্ট হয়।

৮. আয়রনের ঘাটতি হলে ত্বক মলিন দেখায়, চোখ গর্তে ঢুকে যায়। লোহিত রক্তকণিকায় থাকা হিমোগ্লোবিনের উপস্থিতির কারণে রক্ত লাল দেখায়। কিন্তু আয়রনের অভাব হলে তখন রক্তের রঙ ফিকে হয়ে হয়ে আসে। তখন ত্বকও এর রঙ হারায়।

আরএম-০২/১৩/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)