খাবার বারবার গরম করা ঝুঁকিপূর্ণ। অন্যান্য খাবার হিসেব করে রান্না করা গেলেও ভাত হিসেব করে রান্না করা সবসময় সম্ভব হয় না। পুষ্টিবিজ্ঞানী ও চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চালের কোষ তৈরি করে ‘ব্যাসিলাস সেরেয়াস’ নামের একজাতীয় ব্যাকটিরিয়া যা বিষাক্ত কেমিক্যাল উৎপাদন করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ব্যাকটিরিয়া চাল সেদ্ধ করে ভাত তৈরি হয়ে যাওয়ার পরও বেঁচে থাকে।
ভাত ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রেখে দিলে এই ব্যাকটিরিয়ার বংশ বিস্তার করে! শুরু হয় বিষক্রিয়া। আবার ভাত ৫ থেকে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ফের গরম করা হলে এই ব্যাকটেরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠে।
সমাধান হিসেবে গবেষকরা বলছেন, রান্না করা ভাত এক ঘণ্টার বেশি সময় ঘরের স্বাভাবিক তাপমাত্রায় রাখা উচিত নয়। কাঁচ কিংবা ধাতব পাত্রে, ফ্রিজে রাখুন। তাপমাত্রা হতে হবে পাঁচ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে।
ভাত কতবার গরম করা নিরাপদ? চিকিৎসকেরা বলছেন, সবসময় টাটকা খাবার খাওয়াই উচিৎ! তাও একান্তই যদি ভাত গরম করে খেতে হয়, সর্বোচ্চ একবার গরম করাই ভাল। এর বেশি গরম করলে, ভাত নষ্ট হয়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
কীভাবে গরম করবেন ? বাসি-ভাত ফ্রিজ থেকে বের করার সঙ্গে সঙ্গেই গরম করুন। পাশাপাশি ওই ভাত থেকে গরম বাষ্প উঠছে এমন অবস্থাতেই খেয়ে নিন। ভাত গরম করার সময় ক্রমাগত নাড়তে থাকুন যাতে সবখানে সমানভাবে তাপ পৌঁছায়।
মাথায় রাখুন- রান্নার পর ভাত তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা করতে পাত্র পরিবর্তন করুন। ছোট ছোট অংশে ভাত ভাগ করে রাখলেও তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয়ে যায়। ভাত যত তাড়াতাড়ি ঠাণ্ডা হয়, ব্যাকটিরিয়া সক্রিয় হয়ে ওঠার সম্ভাবনা তত কমে।
আরএম-২২/২৯/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)