নারীর একটি গোপন স্বাস্থ্য সমস্যা ও সমাধান

নারীর একটি গোপন

মূলত মুখের ব্রণ নিয়েই আমরা ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আপনি কি জানেন, হাতের তালু এবং পায়ের তলা ছাড়া আর সব জায়গাতেই হতে পারে ব্রণ। এমনকি নারীর গোপনাঙ্গেও হতে পারে ব্রণ। বিব্রতকর এই সমস্যাটি হতে পারে মাসের যে কোনো সময়েই।

সাধারণত ব্রণের সমস্যা দূর করতে আপনি যেসব পদ্ধতি ব্যবহার করেন তা এ ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে। আর ডাক্তারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতেও অনেকেই অনিচ্ছুক। আপনাদের জন্যই রইলো কিছু উপায় যাতে এই সমস্যাটি দূর করা যায়।

১) হরমোনাল ইমব্যালেন্স: মুখের ত্বকের মতোই হরমোনাল ইমব্যালেন্সের কারণে গোপনাঙ্গেও ব্রণ হতে পারে, এর পাশাপাশি দায়ী হতে পারে ব্যাকটেরিয়া। টেস্টোস্টেরোন বা ইস্ট্রোজেন হরমোনের আধিক্যের কারণে এ ধরণের অ্যাকনি দেখা দিতে পারে। এর পাশাপাশি অন্য কোনো মেয়েলী সমস্যা থাকলে ডাক্তার দেখিয়ে নিরাপদ থাকাই ভালো। এর পাশাপাশি কপি জাতীয় খাবার, অর্গানিক সয়া, উদ্ভিজ্জ ফ্যাট আপনার খাদ্যভ্যাসে অন্তর্ভুক্ত করুন।

২) গোপনাঙ্গে হেয়ার রিমুভার ব্যবহার করবেন না: হেয়ার রিমুভার বা রেজর ব্যবহার করা বন্ধ করে দিতে পারেন। অনেকের কাছেই তা অস্বস্তিকর মনে হতে পারে। তবে রেজরের কারণেও অনেক সময়ে ব্রণ হয়, নিয়মিত হেয়ার রিমুভালের ফলে ত্বকের নিচে রোম আটকে গিয়ে ইনগ্রোন হেয়ারের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এর থেকে দেখা দিতে পারেন ইনফেকশনও।

৩) আঁটসাঁট অন্তর্বাস পরিহার করুন: যদিও আঁটসাঁট অন্তর্বাসে আপনার ফিগার ভালো দেখায়, কিন্তু এগুলোর কারণে হতে পারে ব্রণ। রাতে ঘুমানোর সময়ে অন্তর্বাস ছাড়াই থাকুন। এতে আপনার গোপনাঙ্গে যথেষ্ট বাতাস চলাচল করবে এবং ব্যাকটেরিয়া দূর হবে।

৪) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকুন: গোসলের ক্ষেত্রে সবাই নিয়ম মেনে চলেন। তবে গোপনাঙ্গের একটু বাড়তি যত্ন নেওয়া জরুরী। অরিগানো বা টি-ট্রি অয়েল আছে এমন অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সোপ ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে।

৫) অন্তর্বাস পরে ঘুমাবেন না: এ ধরণের ব্রণ দূর করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো অন্তর্বাস পরেনা ঘুমানো। আমাদের শরীর ঘুমের মাঝেই বেশি ঘামে। এ সময়ে ব্রণ দেখা দেয় বেশি। পাতলা কাপড় পরে ঘুমালে ত্বক আরাম পাবে, ব্রণের সমস্যা কম হবে।

৬) কিছু সহজলভ্য ওষুধ ব্যবহার করুন: ঘরোয়া প্রতিকারে কাজ না হলে আপনি কিছু ওষুধ ব্যবহার করতে পারেন। মুখে ব্যবহারের কিছু ব্রণের ওষুধ আপনি এক্ষেত্রেও নিশ্চিন্তে প্রয়োগ করতে পারেন। নিশ্চিত হতে চাইলে কথা বলুন ডাক্তারের সাথে।

আরএম-২৮/১০/০২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)