গরমকালে দইভাতের উপকারিতা
তাপমাত্রা যখন বাড়তে থাকে, তখন কী হয়? দেহের ভেতরের তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় বদহজম এবং গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ বেড়ে যায়।
একই সঙ্গে পেট খারাপ হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতিতে শরীর ঠান্ডা রাখতে এবং নানাবিধ পেটের রোগ দূরে রাখতে দইভাত নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন- হাড় শক্তপোক্ত হয়।
দেহের অন্দরে এ খনিজটির ঘাটতি দেখা দিলে হাড় দুর্বল হতে শুরু করে। ফলে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। ক্যালসিয়ামের ঘাটতি যাতে কোনো সময় না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
আর সে জন্য বেশি করে খেতে হবে দইভাত। কারণ দইয়ে এই খনিজটি প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে ভূমিকা রাখে। ওজন কমায়।
দইভাত খাওয়ার পর অনেক সময় পর্যন্ত পেট ভরে থাকে।
ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমে যায়। সেই সঙ্গে কমে শরীরে অতিরিক্ত মেদ জমার আশঙ্কাও। ভিটামিন ও মিনারেলের ঘাটতি মেটায়।
নিয়মিত দইভাত খাওয়া শুরু করলে শরীরের ভিটামিন ও খনিজ শোষণ করার ক্ষমতা বাড়ে। ফলে দেহের ভেতরে পুষ্টির ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা কমে।
সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে। হজম ক্ষমতা বাড়ায়। দই ও ভাত মিশে যাওয়ার পর এমন কিছু উপাদানের জন্ম হয়, তা শরীরে প্রবেশ করামাত্র একাধিক পেটের রোগ সেরে যেতে শুরু করে।
রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ থাকায় দইভাত খাওয়ার অভ্যাস করলে ক্রমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে।
আরএম-০৪/১৪/০৩ (লাইফস্টাইল ডেস্ক)