ফাস্ট ফুড খেয়ে মৃত্যুঝুঁকি বাড়াচ্ছে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীরা

ফাস্ট ফুড খেয়ে

খেতে সুস্বাদু হওয়ায় গোটা বিশ্বে ফাস্ট ফুড এখন জনপ্রিয়তার শীর্ষে অবস্থান করছে। ব্যস্ত জীবনে রান্না করার ঝামেলা এড়াতে, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে, কখনও বা প্রিয়জনের সঙ্গে সময় কাটাতে অনেকে ফাস্ট ফুডের দোকানে বসে পিৎজা কিংবা ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের অর্ডার দেন।

গল্প করতে করতে আয়েশে এ ধরনের খাবার খাওয়ার প্রবণতা দিন দিনই বাড়ছে।

গবেষণায় দেখা গেছে, ফাস্ট ফুড খেতে যতই সুস্বাদুই হোক না কেন এগুলো খুবই অস্বাস্থ্যকর এবং স্বল্প পুষ্টিসম্মত খাবার।

গবেষকরা বলছেন, ৩০ বছর আগের তুলনায় এ ধরনের খাবারে এখন অনেক বেশি ক্যালরি পাওয়া গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বোস্টন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন, গত ৩০ বছরে ফাস্ট খাওয়ার পরিমাণ যত বেড়েছে, মানুষের মধ্যে স্থূলতা হওয়ার প্রবণতাও তত বেড়েছে।

গবেষকরা দেখেছেন অতীতের তুলনায় আকৃতির সঙ্গে সঙ্গে ফাস্ট ফুডে ক্যালরির পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে। এছাড়া প্রক্রিয়াজাত এবং ফাস্ট ফুড ধরনের খাবারে সোডিয়ামের পরিমাণ বেশি থাকায় বিশ্ব জুড়ে হৃদরোগজনিত মৃত্যুঝুঁকিও বাড়ছে।

গবেষকরা গবেষণার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ১০ টি শীর্ষ স্থানীয় রেষ্টুরেন্টকে বেছে নেন। ১৯৮৬ এবং ২০১৬ সালের মধ্যে তুলনা করে তারা একটি গ্রাফ তৈরি করেন।

এতে দেখা দেয়, ফাস্ট ফুডের সঙ্গে সঙ্গে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতিও মানুষের আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অতিরিক্ত ক্যালরি ও চিনিতে ভরপুর এসব মিষ্টি জাতীয় খাবারও স্বাস্থ্যহানির কারণ ঘটাচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতিরিক্ত ফাস্ট ফুড খাওয়ার কারণে শিশু-কিশোর, তরুণ-তরুণীদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যারা ফাস্ট ফুড খেতে পছন্দ করেন তাদের জন্য এ ধরনের খাবার খাওয়া ছেড়ে দেওয়া বেশ কঠিন।

তবে তাদের মতে, একটু একটু করে হলেও এ ধরনের খাবারের প্রবণতা কমানো উচিত। সুস্থ থাকতে চাইলে কিংবা আয়ু বাড়াতে হলে এসব খাদ্যাভাসের পরিবর্তে বাড়িতে তৈরি পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরএম-০২/২৩/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)