ওষুধ কেন মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে যায়?

ওষুধ কেন মেয়াদোত্তীর্ণ

যে কোনো ওষুধ আপনি কিনতে যান, তার প্যাকেটে কোনো না কোনো জায়গায় একটি মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখ বা এক্সপায়ারি ডেট থাকে। তার মানে কী এই তারিখ পার হলে মাছ-মাংস বা চকলেট-বিস্কুটের মতো ওষুধটাও পচে যাবে?

না, ব্যাপারটা তা নয়। বরং ওই তারিখ পর্যন্ত ওষুধটা শতভাগ নিরাপদ এবং কার্যকর থাকবে বলে গ্যারান্টি দিচ্ছে প্রস্তুতকারক কোম্পানিটি। তবে একটি ওষুধ কতদিন নিরাপদ ও কার্যকর থাকে এ নিয়ে রয়েছে মতভেদ।

ইনসুলিন, নাইট্রোগ্লিসারিন এবং লিকুইড অ্যান্টিবায়োটিক দ্রুতই কার্যকারিতা হারায়। কারণ এসব ওষুধের অ্যাকটিভ ইনগ্রেডিয়েন্টস বা সক্রিয় উপাদান নষ্ট হয়ে যায় সময়ের সঙ্গে সঙ্গে। কিন্তু অনেক ওষুধ আছে যেগুলোর শেলফ লাইফ বেশি। এদের কার্যকারিতা সময়ের সঙ্গে কমলেও তা খেলে ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি অনেক ক্ষেত্রেই থাকে না।

ক্যালিফোর্নিয়া পয়জন কন্ট্রোল সিস্টেম কয়েক বছর আগে পুরানো ওষুধ নিয়ে একটি পরীক্ষা চালায়। একটি ফার্মাসির পেছনে প্রচুর পুরানো ওষুধ যেমন অ্যান্টিহিস্টামিন, পেইনকিলার ও ডায়েট পিল খুঁজে পায় তারা। এমনকি কিছু কিছু ওষুধ ৪০ বছর আগে তৈরি। এরপরও এর মাঝে কিছু ওষুধ পুরোপুরি কার্যকর ছিল।

ওষুধের মেয়াদ নিয়ে এ ধরনের আরও বিশদ গবেষণা করা দরকার, কিন্তু ওষুধ কোম্পানিগুলো এক্ষেত্রে তেমন খরচ করে না। যুক্তরাষ্ট্রের এক সরকারি গবেষণায় দেখা যায়, সঠিক তাপমাত্রা ও পরিবেশে সংরক্ষণ করা হলে মেয়াদোত্তীর্ণ তারিখের পরও ৪ বছরের মতো ভালো থাকে বেশিরভাগ ওষুধ।

তবে এ সত্ত্বেও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ খাওয়াটা একেবারেই অনুচিত। কারণ কিছু কিছু মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধে ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে এবং এতে রোগী সুস্থ হওয়ার বদলে আরও অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।

আরএম-০৮/২৭/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: আইএফএলসায়েন্স)