ঋতুস্রাব মাসে তিন থেকে সাত দিন স্থায়ী হয়ে থাকে একজন সুস্থ নারীর ক্ষেত্রে। এর থেকে যদি বেশি দিন স্থায়ী হয়ে থাকে ঋতুস্রাব তাহলে বুঝতে হবে এটা কোন রোগের লক্ষণ। সে ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যেতে হবে।
অস্বাভাবিক শরীরের ক্ষেত্রে নানা রকম সমস্যা দেখা দেয় পিরিয়ডের সময়। যেমন:- অনিয়মিত ঋতুস্রাব, অতিরিক্ত ব্যথা, অতিরিক্ত ব্যথা, ইত্যাদি। এই সব ঋতুস্রাবের গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা।
ঋতুস্রাবের এ ধরণের কিছু সমস্যা দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। নিচে ঋতুস্রাবের কিছু লক্ষণ উল্লেখ করা হল:-
১। কোন কারণ ছাড়া ঋতুস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া গর্ভাবস্থার লক্ষণ। এ ধরনের সমস্যা হলে প্রেগন্যান্সি টেস্ট করুন।
২। ঋতুস্রাবের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হওয়া ফাইব্রয়েডের লক্ষণ। জরায়ুর পেশি অস্বাভাবিকভাবে বাড়ার কারণে ফাইব্রয়েড হয়। এ ধরনের সমস্যা হলে চিকিৎসকের কাছে যান।
৩। ঋতুস্রাবের সময় অনেকের ব্যথা হয়। তবে এই ব্যথা অতিরিক্ত হলে বা ধারণক্ষমতার বাইরে চলে গেলে এটি অ্যান্ড্রোমেট্রোসিস রোগের লক্ষণ প্রকাশ করে। এ ধরনের সমস্যায় চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করাই ভালো।
৪। সাধারণত ২১ থেকে ৩০ দিন পর পর ঋতুস্রাব হয়। তবে এই চক্রের বাইরে ঋতুস্রাব হলে বা অনিয়মিত ঋতুস্রাব হলে হরমোনের সমস্যার লক্ষণ প্রকাশ করে।
৫। অনেকে প্রিমিনট্রুয়াল সিনড্রোমের (পিএমএস) ব্যথায় ভোগেন। এটি সাধারণত ঋতুস্রাবের আগে হয়। মানসিক চাপ, উদ্বেগ, বিষণ্ণতা, অবসন্নতা ইত্যাদি এর কারণ। অনেকের বেলায় এ ধরনের সমস্যা দৈনন্দিন কাজকর্মে প্রভাব ফেলে। এ রকম হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
৬। থাইরয়েডের সমস্যার কারণে অনেক সময় ঋতুস্রাব অনিয়মিত হয়। তাই অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে থাইরয়েডের কার্যক্রম পরীক্ষা করান।
আরএম-০৭/৩০/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)