স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ হয়তো শুনেছেন, ইদানীং ‘প্রোবায়োটিক’ ধরনের খাবার বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এসব খাবার পেটে ভালো ও খারাপ ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে।
এর মাঝে আছে দই, কেফির, কিমচি, কম্বুচা ইত্যাদি। কিন্তু আপনি কি জানেন, বাসি ভাত দিয়েই তৈরি করা যায় দারুণ একটি প্রোবায়োটিক।
হ্যাঁ, আমাদের চিরচেনা পান্তা ভাত খুবই উপকারী একটি ‘প্রোবায়োটিক’, পেটের জন্য তা বেশ ভালো।
ভারতীয় লাইফস্টাইল কোচ লুক কৌটিনহো এনডিটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন পান্তা ভাতের উপকারিতার কথা। ভাতে কার্বোহাইড্রেট বা শর্করা বেশি থাকে বলে অনেকেই একে ভালো চোখে দেখেন না।
কিন্তু এই শর্করাই বরং সহজে অন্ত্রে চলে গিয়ে প্রোবায়োটিক হিসেবে কাজ করতে পারে। আমাদের অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার তুলনায় খারাপ ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে গেলে লিকি গাট, অটোইমিউন ডিজঅর্ডার, হজমে সমস্যা, পেট ফাঁপা ইত্যাদি সমস্যা দেখা যায়।
প্রোবায়োটিক খেলে ভালো ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়ে ও খারাপ ব্যাকটেরিয়া কমে। এতে পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকে।
প্রোবায়োটিক হিসেবে দইয়ের পাশাপাশি খেতে পারেন পান্তা ভাত। তবে খেতে হবে সঠিক উপায়ে। ভাত রান্নার পর একে মাটির পাত্রে রাখুন পানিতে ভিজিয়ে।
সারা রাত রাখার পর সকালে খালি পেটে এই পান্তা ভাত খেতে পারেন। এতে আপনার পেটের স্বাস্থ্য ভালো থাকবে। পান্তা ভাতে থাকে বিউটাইরিক এসিড, যা প্রদাহ কমাতে পারে।
তবে প্রোবায়োটিকের পাশাপাশি সঠিক খাদ্যাভ্যাস এবং ব্যায়ামের চর্চাটাও বজায় রাখতে হবে।
আরএম-০৮/৩০/০৩ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: এনডিটিভি)