জরায়ু ক্যান্সার কী, কেন হয়?
নারীর জরায়ু মুখের ক্যান্সারের চিকিৎসা নিয়ে সময়-নিউজের সাপ্তাহিক আয়োজন ‘বদ্যি বাড়ি’তে কথা বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের গাইনি ও অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সাবেরা খাতুন ও জাতীয় ক্যানন্সার গবেষণা ইন্সিটিউট ও হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। এ রোগ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য দিয়েছেন তারা। সঙ্গে বিভিন্ন প্রশ্নেরও উত্তর দিয়েছেন।
প্রশ্ন: জরায়ু মুখ বলতে আমরা কী বুঝি?
উত্তর: জরায়ু শরীরের একটি অরগান। যেটাকে আমরা সহজ ভাষায় বলি বাচ্চাদানী। যেখানে বাচ্চা বড় হয়। এই জরায়ুর মুখে অনেক কিছু হয়। অনেক ট্রমা হয়। যার কারণে জরাযু মুখের ক্যান্সারটা বেশি হয়। জরায়ুর মুখে একটা পাতলা আবরণ থাকে। সেই আবরণ থেকে ক্যান্সার হয়।
প্রশ্ন: জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ কী?
উত্তর: জরায়ু মুখের ক্যান্সার হওয়ার আগে একটা অবস্থা থাকে। যেটা সব ক্যান্সারে থাকে না। জরায়ু মুখ ক্যান্সারে এই অবস্থা থাকে। সেই সময়ে মেয়েদের কোন উপসর্গ দেখা যায় না। এ কারণে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে এটা ধরা হয়। আর এই পরীক্ষাগুলোকে বলা হয় স্কিনিং টেস্ট। তিন রকমের স্কিনিং টেস্ট রয়েছে। আমাদের দেশে ভায়া নামক টেস্টের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সার আছে কি-না বুঝা যায়। এরপর অলস্কোস্পি নামক টেস্ট করার মাধ্যমে পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়। এই ক্যান্সার হয়ে যাওয়ার পর উপসর্গ দেখা যায়। তার আগে উপসর্গ দেখা যায় না।
জরায়ু মুখের ক্যান্সার কেন হয়?
# অল্প বয়সে বিয়ে এবং যৌনকাজ করা। ৯ থেকে ১৫ বয়সীরা বেশি আক্রান্ত হয়।
# অল্প বয়েস বাচ্চা প্রসব।
#ঘন ঘন বাচ্চা হওয়া।
# বহুগামিতা।
#মাসিকের সময় অস্বাস্থ্যকর থাকা
#অপুষ্টি
প্রশ্ন: দেশে জরায়ু মুখের ক্যান্সারের সংখ্যাটা কেমন?
উত্তর: জরায়ু মুখের ক্যান্সারের পরিসংখ্যানটা সঠিকভাবে বলা যাবে না। তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটা সহযোগী সংগঠন আইএইআরসি’র মতে নারী-পুরুষসহ প্রায় দেড় লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৮৩ হাজার ৭১৫ পুরুষ। নারী ৬৭ হাজার। মারা যায় এক লাখ আট হাজার। তার জরায়ু ক্যান্সারের সংখ্যা মধ্যে ৮ হাজার ৬৮টি।
আরএম-২৪/১৪/০৪ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সময়নিউজ.টিভি)