তীব্র গরমে নাজেহাল জীবন। বাইরে বের হলেই যখন তখন সানস্ট্রোকের ভয়। তবে হৃদরোগ নিয়ে চিন্তা নেই এমনটা যারা ভাবেন, তাদের ভাবনা ভুল এমনটাই বলছেন চিকিৎসকরা। বরং এই সময়েই আপনার অজান্তেই বাড়তে পারে হৃদরোগ।
হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, হৃদরোগ কোনো আগাম সঙ্কেত ছাড়াই আসে। গরমকালেও এই রোগ দেখা দিতে পারে। হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে শুরু করলেই এই কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনা বাড়ে। শীতকালে সাধারণত এর সম্ভাবনা বেশি হলেও গরমে যে হবে এমন নয়। চিকিৎসকদের মতে মূলত তিনটি কারণে যখন তখন হৃদরোগ হতে পারে।
দ্য লানসেট নামক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ম্যাগাজিনে একটি প্রতিবেদনে গবেষকরা দাবি করেছেন, বাড়তে থাকা স্ট্রেস এবং চাপা উদ্বেগও হৃদরোগের একটি কারণ হয়ে উঠতে পারে।
আর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন, কোনো রোগীর ধমনী ব্লক হয়ে গেলে অক্সিজেনপূর্ণ রক্ত হৃৎপিণ্ডে পৌঁছনো বন্ধ হয়ে যায়। তখনই হয় হার্ট অ্যাটাক। দ্রুত চিকিৎসা শুরু না হলে হৃৎপিণ্ডের সেই অংশটি অকেজো হয়ে যায়। গরমকালে এই ধরনের হৃদরোগ হতে পারে রাতের দিকে হঠাৎ।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে হার্ট অ্যাটাকের ক্ষেত্রে বুকে ব্যথা বোঝা যায় না। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রথমেই সতর্ক হতে বলছেন চিকিৎসকরা। দুশ্চিন্তা কমাতে না পারলে বিপদের সম্ভাবনা বাড়ে অনেকখানি। গরমের রাতে যত সম্ভব হালকা খাবার খেতে বলেন চিকিৎসকরা।
হজমের সমস্যা এর অন্যতম। বদহজম হলে হার্টের উপর তার প্রভাব পড়ে।
অতিরিক্ত ঘাম হওয়া হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ। অনেক সময় মাত্রাতিরিক্ত ঘাম হয়, এসি-তে থাকলেও গরমের অস্বস্তি কাটে না।
ঘাম, চোখে-মুখে অন্ধকার দেখা যেমন উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা বাড়ে।
বুকে-পিঠে ব্যথা, হাতে একটানা ব্যথা হওয়াও অনেক সময় হৃদরোগের বার্তা দেয়। একটানা অনেক দিন ধরে চিনচিন ব্যথা হলেও সাবধান।
আরএম-০৫/২৬/০৪ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)