ঋতুস্রাবের সময় যেসব উপসর্গ বিরক্তির কারণ হয় সেগুলো নিরাময়ে সহায়ক হতে পারে শরীরচর্চা।
স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মাসিকের সময় শরীরচর্চার উপকারী দিকগুলো এখানে দেওয়া হল।
শারীরিকভাবে একজন নারী যত বেশি সক্রিয় থাকবেন এবং তাতে যত বেশি নিয়মিত হবেন, মাসিকের দিনগুলো তার ততই তুলনামূলক কম সমস্যার মধ্য দিয়ে কাটবে।
শরীরচর্চা করলে দেহ থেকে বাড়তি পানি ঘামের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। ফলে শরীরের ফোলাভাব ও পানি জমা কমবে। এছাড়াও শরীরচর্চার করলে মন ভালো করার হরমোন ‘এন্ডোরফিন্স’ নির্গত হয়, যা এই সময়ের যন্ত্রণা ও অস্বস্তি থেকে মনকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
ঋতুস্রাব যখন শুরু হয় তখন শরীরে ‘ইস্ট্রোজেন’ ও ‘প্রোজেস্টেরন’ হরমোনের মাত্রা কমে যায়। এতে শরীর আরও বেশি কর্মক্ষম হয়ে ওঠে। তাই অন্য সময়ের তুলনায় ভারী শরীরচর্চা করার আদর্শ সময় ওই মাসিকের দিনগুলোই।
ঋতুস্রাব চলাকালে ব্যথা হলে তাকে ‘ডিজমেনোরিয়া’ বলে থাকেন চিকিৎসকরা। আর যে এই পরিস্থিতিতে একবার পড়েছে সেই জানে সেসময়ের যন্ত্রণা। তবে সেই সময়ের ব্যথা কমাতে উপকারী শরীরচর্চা।
মাসিক চলাকালে শরীরের তাপমাত্রা থাকে কম। এসময় শরীর বেশি তাপ ও আর্দ্র পরিবেশ সহ্য করতে পারে এবং কেন্দ্রিয় স্নায়ুতন্ত্র সহজে অবসাদগ্রস্ত হয় না।
ঋতুস্রাব শুরু হওয়ার সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে অবহিত থাকেন নারীরা, তাই এর সঙ্গে আসা যন্ত্রণাগুলোকে নিজের উপর আক্রমণ করতে না দেওয়া ব্যবস্থা আগেই নিতে পারেন।
এজন্য মাসিক শুরু হওয়ার ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা আগেই একটি ব্যথার ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন। আর তাতে ব্যথা কমবে এবং শরীরচর্চা করা সহজ হবে।
তবে শরীর একেবারেই সায় না দিলে জোর করে শরীরচর্চা না করাই ভালো। প্রয়োজনে হাঁটাহাঁটি কিংবা মৃদু মাত্রার ‘স্ট্রেচিং’ করা যেতে পারে।
কিছু ‘স্ট্রেচিং’ রক্ত সঞ্চালন বাড়নোর মাধ্যমে প্রদাহের আশঙ্কা কমায়। বেশি খারাপ লাগলে দুএকদিন বিশ্রাম নেওয়াই ভালো।
আরএম-১৫/০৫/০৫ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)