গরমের সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে অসুস্থতাও। তীব্র গরমে বেশি ভয় থাকে হিট স্ট্রোকের। আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা হচ্ছে ৩৭-৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। প্রবল গরমের মধ্যে দিনের অনেকটা সময় কাটালে যদি তাপমাত্রা কোনোভাবে ৪০ ডিগ্রি পেরিয়ে যায়, তাহলে হিট স্ট্রোক হতে পারে, ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিরও। শরীরে পানির পরিমাণ কমে গেলে বা ডিহাইড্রেশন হলে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধির লক্ষণ
* খুব ঘাম হবে। মাথা ঘুরবে, প্রবল তেষ্টা পাবে।
* চোখে অন্ধকার দেখে অজ্ঞানও হয়ে যেতে পারেন।
* ঘামের ফলে প্রচুর লবণ বেরিয়ে যায় শরীর থেকে, তাতে সোডিয়ামের ঘাটতি দেখা দেয়। তেমন হলে বমি পাবে ঘনঘন, ক্র্যাম্প ধরবে মাসলে।
* মাথা ধরতে পারে, বাড়তে পারে হৃদস্পন্দনের হারও।
পরিত্রাণের উপায়
* বেলা এগারোটা থেকে বিকেল তিনটা পর্যন্ত প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে বেরোবেন না, কারণ ওই সময়েই রোদের ঝাঁজ থাকে সবচেয়ে বেশি।
* একান্তই বেরোতে হলে অবশ্যই পানির বোতল রাখুন সঙ্গে। খুব ভালো হয় লবণ-চিনি মেশানো পানি খেতে পারলে।
* সঙ্গে বরফে মোড়া রুমাল বা তোয়ালে রাখতে পারলেও খুব ভালো হয়। সোজা কথায়, শরীরের তাপমাত্রা মারাত্মক বাড়তে দেওয়া চলবে না।
* দূরে থাকুন চা-কফি-মদ-সফট ড্রিঙ্ক থেকে।
* খেতে পারেন ডাবের পানি, ফলের রস, লস্যি, ঘোল ইত্যাদি।
* হালকা রঙের ঢিলেঢালা পোশাক পরুন। বাইরে যেদিন বেরোবেন সেদিন অন্তত পুরোহাতা সুতির জামা পরা আবশ্যক।
* খুব চড়া রোদ্দুরে ব্যায়াম করতে বেরনোও বিপজ্জনক হতে পারে। ব্যায়াম শুরু আধ ঘণ্টা আগে ও শেষ করার ১৫ মিনিট পরে প্রচুর পানি খেতে হবে। প্রতিদিন ঠান্ডা পানিতে একাধিকবার গোসল করাও বাধ্যতামূলক।
কী খাবেন?
* আম, পাকা কলা, লিচু, তালশাঁস, আঙুরের মতো ফল থেকে প্রচুর পানি ও শক্তি মিলবে। শরীরে পানির জোগান বাড়াবে পটল, ঢেঁড়শ, ঝিঙে, চিচিঙ্গে, লাউ, করলা, কুমড়ো, ডাঁটা, পেঁপের মতো সবজি।
* প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় রাখুন ডাল, পাতলা ঝোল, আম বা তেঁতুলের পাতলা টক ইত্যাদি। শরীরের তাপমাত্রা কমাতে কাঁচা পেঁয়াজ দারুণ কার্যকর, তাই আপনার সালাদ বা বিকেলের মুড়িমাখায় অবশ্যই পেঁয়াজকুচি যোগ করুন।
* পুদিনা, জিরাগুঁড়া, বিটলবণ, ভাজা মশলা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন সুস্বাদু শরবত।
* বেশিক্ষণ খালি পেটে থাকবেন না, তাতেও শরীর দুর্বল হয়ে পড়তে পারে।
আরএম-১১/০৭/০৫ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)