হাঁপানি বন্ধ করতে হবে

হাঁপানি বন্ধ

হাঁপানি একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ। যার মূল লক্ষণ হলো কাশি, শ্বাসকষ্ট, বুকে চাপ বোধ হওয়া এবং সাঁ সাঁ শব্দে নিঃশ্বাস ফেলা। কিছু ক্ষেত্রে কাশি ব্যতীত অন্য লক্ষণগুলো থাকে না। বিশেষ করে কাফ ভেরিয়েন্ট অ্যাজমা বা হাঁপানি থাকলে।

হাঁপানির কারণ এখনো পরিপূর্ণ বোঝা যায়নি। বংশগত কারণ এবং পরিবেশের কারণে হাঁপানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘরের ধুলো, বিছানার পোকা, কার্পেট, পুরনো আসবাবপত্র, দূষণ, অ্যালার্জি, তামাকের ধোঁয়া ও রাসায়নিক উত্তেজক পদার্থ এগুলোকে হাঁপানি রোগের মূল কারণ হিসেবে ধরা হয়।

ভাইরাসের সংক্রমণ ঠান্ডা হাওয়া প্রচণ্ড রাগ বা ভয় মাত্রাতিরিক্ত ব্যায়াম, কিছু নির্দিষ্ট ওষুধ (অ্যাসপিরিন, পোপানলল, ডাইক্লোফেনাক ও এসিক্লোফেনক জাতীয় ওষুধ) হাঁপানির সমস্যাকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

হাঁপানি বেড়ে যাওয়ার আরেক কারণ হলো নগরায়ণ। চিকিংসা-সংক্রান্ত ইতিহাস এবং পিএফটির (পালমোনারি ফাংশন টেস্ট)/স্পাইরোমেট্রির সাহায্যে হাঁপানি নির্ণয় করা সম্ভব। হাঁপানির পরিপূর্ণ নিরাময় সম্ভব নয়। কিন্তু নির্দিষ্ট ওষুধের মাধ্যমে চিকিৎসার মাধ্যমে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেসব কারণে হাঁপানি বেড়ে যায় সেই সব বিষয় এড়িয়ে যেতে হবে। হাঁপানি সংক্রামক/ছোয়াচে রোগ নয়। দৈনন্দিন হালকা ব্যায়াম (জগিং) করলে হাঁপানির উপসর্গগুলো কিছুটা কমে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫ কোটির বেশি লোক হাঁপানিতে আক্রান্ত। ৭ মে বিশ্ব হাঁপানি দিবস। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় হলো স্টপ ফর অ্যাজমা (হাঁপানি বন্ধ করতে হবে)। যেখানে ‘স্টপ’ মানে উপসর্গের বিবর্তন পরীক্ষার প্রতিক্রিয়া, পর্যবেক্ষণ এবং নির্ধারণ, চিকিৎসা বজায় রাখা।

আরএম-১২/০৭/০৫ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)