ওজন কমাতে গোলমরিচ

ওজন কমাতে

ওজন কমাতে সহায়ক বিভিন্ন উপাদান রয়েছে গোলমরিচে।

বাঙালি রান্নায় বিভিন্ন মসলার ব্যবহার খাবারে আনে অভিনব স্বাদ। আর একারণেই বিশ্বব্যাপী সমাদৃত এই উপমহাদেশের খাবারের পদগুলো।

এমনই একটি মসলা হল গোলমরিচ, যা প্রায় সব রান্নায় কমবেশি ব্যবহার হয়। পানসে খাবারকেও জিভে চাঙা করা খাবার বানিয়ে দিতে পারে সঠিক পরিমাণে দেওয়া গোলমরিচ।

পুষ্টিবিজ্ঞানের তথ্যানুসারে এতে ক্যালরি কম, আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন কে এবং ভিটামিন সি।

পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম ও সোডিয়াম ইত্যাদি খনিজও এতে বিদ্যমান। তাই খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি চর্বি কমাতেও তা অনন্য।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এই বিষয়ের ওপর প্রকাশতি প্রতিবেদন অবলম্বনে জানানো হলো কীভাবে এই মসলা ওজন কমাতে ভূমিকা রাখে।

ওজন নিয়ন্ত্রণ উপাদান: গোলমরিচে আছে ‘পিপেরিন’ নামক এক উপাদান যা বিপাকের গতি বাড়ায় এবং শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। শরীরে স্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলের ঘনত্ব বাড়াতেও কাজে লাগে এই উপাদান। এছাড়াও গোলমরিচ ‘থার্মোজেনিক’-জাতীয় খাদ্য উপাদান, যা দ্রুতি চর্বি ঝরায় এবং বিপাকক্রিয়া বাড়ায়। আর মসলাদার এবং ঝাল খাবার অল্প পরিমাণেই ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে।

খাদ্যাভ্যাসে গোলমরিচ থাকলে ওজন কমাতে সময় কম লাগবে। তবে খেতে হবে পরিমাণ মতো। দিনে এক থেকে দুই চা-চামচের বেশি গোলমরিচ গ্রহণ করলে দেখা দিতে পারে নানান পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।

গোলমরিচের চা: পাত্রে এক কাপ পরিমাণ পানি নিয়ে তাতে সামান্য আদা বাটা যোগ করতে হবে। পাঁচ মিনিট ফুটিয়ে পানিটুকু একটি কাপে ছেঁকে নিতে হবে। এবার তাতে ‘গ্রিন টি’র ‘ব্যাগ’ ডুবিয়ে দিতে হবে এবং মেশাতে হবে আধা চা-চামচ গোলমরিচ। তৈরি হয়ে গেল গোলমরিচের চা।

চিবিয়ে: মসলার ঝাঁঝ সইতে পারলে গোলমরিচ সরাসরি চিবিয়েও খেতে পারেন। খালি পেটে দু-তিনটি গোলমরিচের দানা মুখে নিয়ে চিবিয়ে খেতে পারেন।

মধুর সঙ্গে: একটি পাত্রে এক কাপ পানি ফুটিয়ে নিতে হবে। এবার তাতে এক চা-চামচ মধু আর আধা চা-চামচ সদ্য পেষা গোলমরিচের গুঁড়া ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। সকালে পান করলে শরীর থেকে বিভিন্ন বিষাক্ত উপাদান অপসারণে সাহায্য করবে এই পানীয়।

গোল মরিচের তেল: ওজন কমাতে গোলমরিচের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। ওষুধের দোকান থেকে ১০০ ভাগ বিশুদ্ধ গোলমরিচের তেল কিনতে হবে। এক গ্লাস পানিতে এই তেল এক ফোঁটা মিশিয়ে সকালে নাস্তা খাওয়ার আগে পান করতে হবে।

সবজি ও ফলের শরবতে: আধা চামচ পরিমাণ গোলমরিচ এদের সঙ্গে মিশিয়ে পান করতে পারেন।

খালি পেটে গোলমরিচ খাওয়া সবচাইতে উপকারী। এসময় সরাসরি চিবিয়েও খেতে পারেন।

পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: অতিরিক্ত গোলমরিচ খেলে গ্যাসের সমস্যা কিংবা পেটে গোলমাল দেখা দিতে পারে। অন্ত্রের ভেতরে দেয়ালে অস্বস্তি সৃষ্টি হতে পারে। গর্ভবতী অবস্থায় গোলমরিচ খাওয়া যাবে না। কারণ তাতে গর্ভপাতের আশঙ্কা বাড়ে।

সাবধানতা: গোলমরিচ খাওয়ার পর আধা কাপ পানি পান করতে হবে। অন্ত্রের দেয়ালে গোলমরিচের অস্বস্তিকর অনুভূতি দূর করতে চর্বিহীন দই খেতে পারেন। আর গোমমরিচ খাওয়ার পর খারাপ লাগলে তৎক্ষণাত বন্ধ করতে হবে।

আরএম-১৬/০৭/০৫ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)