জেনে নিন, কোন অসুখে কোন সাক-সবজি খেলে উপকার পাবেন

সাক-সবজি খেলে

মুঠো মুঠো অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ খাওবার প্রয়োজন নেই! সাইড এফেক্ট মারাত্মক! বরং রোজকার খাবারে রাখুন পর্যাপ্ত পরিমাণে শাক-সবজি। ডায়াবিটিস, ব্লাড প্রেশার, চোখের সমস্যা, অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা সায়েস্তা হবে সহজেই!

ডায়াবিটিস : তেলাকুচা পাতা, করলা, মেথি শাক, কচি নিমপাতা, হেলেঞ্চা শাক ডায়াবিটিসের মহৌষধ। সাদা বেগুন, কলার থোড়, মোচা, ঢেঁরস, ডুমুর, পালং শাক, কাঁচা রসুনও খুব উপকারি। এড়িয়ে চলুন বীট, আলু, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, ওল, কচুর মতো কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ সবজি।

রক্তচাপ বা ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণ : পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। কাজেই হাই ব্লাড প্রেশারে ডায়েটে রাখুন পটাশিয়াম সমৃদ্ধ শাক-সবজি যেমন আলু, কচু, ঢেঁরস, ঝিঙে, বীট, গাজর, মিষ্টিআলু বা রাঙাআলু, মটরশুঁটি, পালং শাক, বাঁধাকপি, নটেশাক খান। এছাড়া, ভাতের সঙ্গে সজনে পাতা সেদ্ধ খেলেও উপকার পাবেন। ভাতের সাথে খেলে দারুণ উপকার পাওয়া যায়। কাঁচা রসুনও উচ্চ রক্তচাপ কমায়।

চোখের সমস্যা : ভিটামিন-এ চোখের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ভিটামিন এ-এর অভাবে দৃষ্টিশক্তি কমে আসে, রাতকানা রোগ বা নাইট ব্লাইন্ডনেস-এও আক্রান্ত হতে পারেন। কাজেই, চোখের সমস্যা প্রতিরোধে বিশেষ করে শিশুদের প্রথম থেকেই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ সাক-সবজি খাওয়ানো উচিত যেমন–গাজর, বাঁধাকপি, লেটুস, পালং শাক, টোম্যাটো, নটে শাক, মেথি শাক, সরষে শাক, লাল শাক, সজনে শাক, গিমে শাক।

অ্যাসিডিটি: থোড় হজম শক্তি বাড়ায়। গিমা শাক, পুদিনা পাতা, চিচিঙ্গা, পটল, কাঁকরোল, সরষে শাক, থানকুনি অ্যাসিডিটির যম।

আরএম-১৪/১৯/০৫ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)