কেন খাবেন লালবিট?

খাবেন লালবিট

শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় উপাদানসমৃদ্ধ শীতের সবজি বিট৷ এতে ক্যালোরি নেই বললেই চলে, অথচ শরীর সুস্থ রাখাতে এর জুড়ি মেলা ভার৷ চলুন জেনে নেওয়া যাক কী রয়েছে গোলগাল লাল রঙের এই সবজিতে৷

কম ক্যালোরি

এতে রয়েছে আলুর প্রায় অর্ধের ক্যালোরি৷ তাছাড়া শর্করার পরিমাণও অনেক কম৷ সবজি, সালাদ বা স্যুপ হিসেবে লাল বিট খেতেও খুব ভালে৷ এছাড়া স্বাস্থ্য সচেতনদের জন্য এটা সত্যিই এক উপযুক্ত খাবার, যাতে পেট ভরবে কিন্তু ওজন বাড়বে না৷

কাশির জন্য উপকারী

খুব হালকা টক, তেতো আর মিষ্টির সংমিশ্রণে ভিন্ন স্বাদের সবজি বিট কাশির জন্যও খুব উপকারী৷ তাছাড়া এর মধ্যে ব্যাকটেরিয়া বিরোধী উপাদান রয়েছে, যা শীতকালীন ঠান্ডা লাগা থেকেও দূরে রাখবে আপনাকে৷

‘ফুল অফ পাওয়ার’

লাল টুকটুকে রঙের এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে গ্লুকোজ৷ এর কারণে স্বাদে বিট একদিকে যেমন একটু মিষ্টি-মিষ্টি, তেমনই অন্যদিকে শরীরে শক্তি যোগাতেও এর জুড়ি নেই৷ তাই তো অনেকে চকলেটের বদলে কাঁচা বিট চিবিয়ে খান৷ তার ওপর এতে বিভিন্ন ভিটামিনও কম নেই!

শরীরকে ভেতর থেকে সুরক্ষা করে

লাল বিটে থাকা উপাদান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে শরীরকে ভেতর থেকে সুরক্ষা করে৷ বিশেষ করে, পরিবেশের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে যেসব রোগ হয় তা প্রতিরোধ করে বিট৷ আর বিভিন্ন সংক্রমণ রোগ থেকেও রক্ষা করে লাল রঙের এই সবজি৷ জানান জার্মান পুষ্টি বিশেষজ্ঞ ডা. ভল্ফগাং ফাইল৷

ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর বিট

নানা রোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রাচীনকালে গ্রিক ও রোমানরাও নিয়মিত বিট খেতেন৷ রক্তের মতো রঙের বিটের জুস রক্তস্বল্পতা দূর করে৷ এমনকি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে হজমশক্তিও বাড়ায় বিট৷

বিটপালং

যাঁদের শরীরে আয়রনের ঘাটতি আছে, তাঁদের জন্য বিট এবং বিটপালং প্রয়োজনীয় খাবার৷ বিট উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং মেয়েদের অনিয়মিত মাসিক বা ঋতুস্রাবজনিত সমস্যাও কাজ দেয়৷ সহজ কথায় বললে শরীরে জন্য লাল বিটের কোনো ক্ষতিকারক দিক নেই৷

জার্মানদের প্রিয় সবজি

জার্মানিতে ‘বিট’ বেশ জনপ্রিয় সবজি৷ জার্মানরা নানাভাবে বিট খান, তবে বিট সালাদ হিসেবে খেতেই বেশি পছন্দ করেন এঁরা৷ ডয়চে ভেলের ক্যান্টিনে প্রায় প্রতিদিনই থাকে ‘বিট সালাদ’৷

আরএম-০১/০৯/০৬ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: ডয়চে ভেলে)