যৌন সংক্রমণে বেশি ভোগেন ১৫-৪৯ বয়সের মানুষেরা!

যৌন সংক্রমণে

যৌনতা নিয়ে মানুষের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। বরাবরই যা কিছু গোপন সেইসবই মানুষের জানার আগ্রহ থাকে বেশি।যৌনতাও তাই বরাবর আকর্ষণ করে মানুষকে৷ অনেকেই সুরক্ষিত যৌনজীবন যাপন করেন না।

বহুজনই আবার বহুগামীও। ফলে, অসুরক্ষিত এই যৌনতা থেকেই বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে এ লাখেরও বেশি মানুষ যৌন সংক্রমণে ভোগেন। ফলাফল, ক্ল্যামেডিয়া, গনেরিয়া, সিফিলিসের মতো রোগ। এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু।

“বিষয়টি নিয়ে যেমন অধিকাংশ মানুষ সচেতন নন তেমনি লজ্জায় জানাতে চান না অনেকেই। চিকিতসাও করান না। ফলে, রোগের নিরাময় হয় না। এবং একজনের থেকে তা অন্যজনের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়ে ভয়াবহ আকার নিচ্ছে,” মত হু-এর প্রতিনিধি ডা. পিটার সালমার।

২০১৬-য় করা এক সমীক্ষা বলছে, চারটি সংক্রমণের ওপর নতুন ৩৭৬টি কেস সম্বন্ধে খবর মিলেছে। এর মধ্যে ১২৭ লাখ মানুষ আক্রান্ত ক্ল্যামাইডিয়ায়। ৮৭ লাখ আক্রান্ত গনোরিয়ায়, ৬.৩ লাখ আক্রান্ত সিফিলিসে। আর ১৫৬ লাখ আক্রান্ত ট্রিকোমোনিয়াসিসে।

২৫ জনের মধ্যে ১ জন রোগীর চিকিতসা না করানোয় হৃদরোগ, স্নায়ুর রোগ, বন্ধাত্ব, অমনকি এইচআইভি সংক্রমণেও ভোগেন। সাধারণত, ১৫-৪৯ বছর বয়সের মানুষেরা এই সংক্রমণে বেশি ভোগেন।

আরএম-১১/১০/০৬ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)