ডায়াবেটিস রোগীরা কেন খাবেন করলার জুস?

ডায়াবেটিস রোগীরা

ডায়াবেটিস হলে শরীরে আরো অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। তাই ডায়াবেটিস হওয়ার আগে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করা ভালো।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের দেশি তিনটি সবজি যথেষ্ঠ। এসব সবজি হচ্ছে মুলা, ঢেঁড়স ও করল্লা।

ডায়াবেটি নিয়ন্ত্রণে করলার জুস খুবই উপকারী। উপমহাদেশ ও চীনের গ্রামাঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিসের ওষুধ হিসেবে করলার রস পান করে আসছেন।

এছাড়া বাত রোগে, লিভার ও শরীরের কোনো অংশ ফুলে গেলে তা থেকে পরিত্রাণ পেতে করলা ভালো পথ্য।নিয়মিত করলা খেলে জ্বর, হাম ও বসন্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।

ডায়াবেটিস কি?

স্বাভাবিকের চেয়ে রক্তে বেশি শর্করা বা সুগার থাকলে তাকে বলা হয় ডায়াবেটিস মেলাইটাস বা সংক্ষেপে ডায়াবেটিস। বাংলায় এই রোগকেই মধুমেহ বলা হয়। কেন করলার জুস খাবেন?

কেন করলার জুস বা রস খাবেন?

করলায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বি ও সি রয়েছে। একই সঙ্গে এতে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন, আয়রন, জিঙ্ক, পটাশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। তাই করলার জুস শরীরের জন্য অনেক উপকারী।

করলার রস দিয়ে জুস তৈরি করে খেতে পারেন। আসুন জেনে নেই করলার রস দিয়ে কীভাবে জুস তৈরি করবেন?

যেভাবে তৈরি করবেন করলার জুস

গাঢ় সবুজ রঙের কাঁচা করলা নিয়ে টুকরো করে কাটতে হবে। বিচিগুলো সরিয়ে ফেলতে হবে। তিতা কমাতে চাইলে করলা কেটে ঠাণ্ডা লবণ পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে।

এরপর ব্লেন্ডারে জুস তৈরি করে নিতে হবে। প্রয়োজন মত লবণ দেয়া যেতে পারে।

উপকারিতা

তিতা করলার রস পানে অগ্ন্যাশয় ক্যানসারের কোষ ধ্বংস হয় বলে সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন। ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে করলার রস সহায়তা করে। করলার আয়রন হিমোগ্লোবিন তৈরি করতে সাহায্য করে। দাঁত ও হাড় ভালো রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে। দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে ও চোখের সমস্যা সমাধানে করলার বিটা ক্যারোটিন খুবই উপকারী। ত্বক ও চুল ভালো রাখার জন্যও একান্ত জরুরি। চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে। এছাড়া করলার রস ক্রিমিনাশক।

আরএম-০৫/১৬/০৬ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)