কিডনি আমাদের শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ।কিডনি রোগ হলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। কিডনি রোগের চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল। তাই কিডনির যত্ন নিতে হবে। যত্ন না নিলে কিডনির আয়ু কমে যায় বা কিডনি রোগ হয়।
কিডনি হার্ট, ফুসফুস, মস্তিষ্ক, লিভার প্রভৃতি অঙ্গের কাজের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। কিডনির সব চেয়ে ক্ষুদ্র অংশ হল নেফ্রোন। প্রতিটি কিডনিতে প্রায় ১০ লাখ নেফ্রোন থাকে যার প্রতিটিই রক্ত পরিশোধনের ক্ষুদ্র ছাঁকুনি হিসেবে কাজ করে।
তবে অনেক কারণে কিডনি রোগ হতে পারে।আর অনেকে বুঝতে পারেন না এই রোগের লক্ষণগুলো। ফলে অনেক সময় দেয়া যায় কিডনি নষ্ট হয়ে যায়।
আসুন জেনে নেই যেসব লক্ষণে বুঝবেন কিডনির আয়ু কমছে-
১. অতিদ্রুত হাঁপিয়ে যাওয়া।
২. কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে না পারা।
৩. অরুচি ও ঘুমের সমস্যা।
৪. রাতে বেশি বেশি প্রস্রাব ও মাংসপেশিতে টান লাগা
৫. মুখ ও অস্থির সংযোগ স্থল ফুলে যাওয়া
৬. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ
৭. শরীরে পানি আসা প্রভৃতি।
কিডনি রোগের চিকিৎসা
অ্যান্টিবায়োটিক
ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়। তবে ব্যাকটেরিয়ার ধরন নির্ণয়ে রক্ত/প্রস্রাব কালচার করার প্রয়োজন হয়।
নেফ্রোস্টোমি
এ বিশেষ পদ্ধতিতে চামড়ার নিচ দিয়ে একটি ক্যাথেটার কিডনিতে পৌঁছানো হয় যার মাধ্যমে বিকল্প পথে প্রস্রাব বের হয়ে আসতে পারে।
লিথোট্রিপসি
উচ্চপ্রযুক্তির আল্ট্রাসনিক শক ব্যবহার করে কিডনির পাথরকে ছোট করে বিশেষ ব্যবস্থায় বের করে আনার চিকিৎসা পদ্ধতিকে লিথোট্রিপসি বলে।
নেফ্রেকটোমি
শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে কিডনি অপসারণকে নেফ্রেকটোমি বলে। কিডনিতে ক্যান্সার/টিউমার হলে বা কোনো কিডনি পুরোপুরি বিকল হয়ে সমস্যার সৃষ্টি করলে নেফ্রেকটোমি করা হয়ে থাকে।
ডায়ালাইসিস
কৃত্রিম যন্ত্রের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময় পরপর রক্ত পরিশোধন ব্যবস্থার নাম ডায়ালাইসিস। ডায়ালাইসিস বিভিন্ন রকমের হতে পারে যেমন- হেমোডায়ালাইসিস, পেরিটোনিয়াল ডায়ালাইসিস প্রভৃতি। এটি বেশ ব্যয় বহুল চিকিৎসা পদ্ধতি।
কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট
অকেজো কিডনি পরিবর্তন করে কোনো দাতার কিডনি সংযোজনকে কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট বলে। কিডনি ট্রান্সপ্লান্ট ব্যয় বহুল এবং এটি করার পর বাকি জীবন নির্দিষ্ট কিছু ওষুধ খেয়ে যেতে হয়।
আরএম-০২/১৮/০৬ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)