গর্ভধারণের সময় যে ৪ টি মারাত্মক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন গর্ভবতী নারীরা

গর্ভধারণের সময়

সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা নারীদের জন্য অত্যন্ত সুখের একটি বিষয়। একজন নারী তখনই পূর্ণতা পান যখন তিনি একজন সন্তানের মা হতে পারেন। তাই গর্ভধারণের সময় একটু বেশি সতর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরী। গর্ভধারণের সময়ে মর্নিং সিকনেস, হাতে-পায়ের মাংসপেশিতে টান ধরা, বমি, পায়ে পানি চলে আসা, পিঠ ব্যথা করার মতো অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় নারীদের। তবে এই ধরণের সমস্যা হওয়া অনেক স্বাভাবিক। তবে এইসকল সমস্যা বাদে কিছুটা অস্বাভাবিক এবং মারাত্মক সমস্যাও হতে দেখা যায় অনেকের। তাই সতর্কতা অত্যন্ত জরুরী।

১) এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি ইন্টারনাল ব্লিডিং

গাইনোকলজিস্টদের মতে, এক্টোপিক প্রেগন্যান্সির সময়, ফ্যালোপিন টিউব এমব্রায়ো দ্বারা আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ফ্রাকচার হয়ে যেতে পারে যার কারণে ইন্টারনাল ব্লিডিং শুরু হয় যা মা ও শিশু উভয়ের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এইধরনের এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি অনেকটা সময় মিসক্যারেজে পরিণত হয়।

২) প্রিএক্ল্যাম্পসিয়া

পুরো বিশ্বে প্রতিবছর প্রায় কয়েকলাখ গর্ভবতী নারী এই সমস্যায় আক্রান্ত হন। যখন ইউরিনে অতিরিক্ত প্রোটিন এবং অনেক বেশি উচ্চ রক্তচাপ দেখা যায় তখন এই সমস্যা নজরে পড়ে। বিশেষ করে ৩য় ট্রাইমেস্টারে এই সমস্যা ধরা পড়ে। খুব সতর্ক এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিটি কাজ সঠিকভাবে করলেই এই সমস্যায় সুস্থ সন্তান জন্মদান সম্ভব। তাই সতর্ক হোন।

৩) গ্যাসটেসোনাল ডায়াবেটস

২য় ট্রাইমেস্টার সময় থেকে প্রতিবার ডাক্তারের চেকআপের সময় গর্ভবতী নারীর রক্তের গ্লুকোজ পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরী। গ্যাসটেসোনাল ডায়াবেটসের কারণে সন্তান জন্মদানে সমস্যা হতে পারে। তাই সেই সমস্যা থেকে মুক্ত থাকতে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবার ও শারীরিক পরিশ্রম অনেক বেশি জরুরী।

৪) প্ল্যাসেন্টা প্রেভিয়া

এই সমস্যার অর্থ হচ্ছে প্ল্যাসেন্টা ইউটেরাসের একেবারে নিচের দিকে কার্ভিক্সের কাছাকাছি রয়েছে যা ডেলিভারির সময় কমপ্লিকেশন তৈরি করে। যদি সময় মতো এই সমস্যা ধরা না পড়ে এবং চিকিৎসা না করা যায় তাহলে অতিরিক্ত রক্তপাতের সমস্যা দেখা দেয়।

আরএম-১৪/২০/০৬ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)