ঘাড়ের স্পন্ডিলোসিস এড়াতে করণীয়

ঘাড়ের স্পন্ডিলোসিস

আধুনিক জীবনযাত্রায় যোগ হচ্ছে নতুন সব অসুখের নাম। দীর্ঘসময় অফিস ডেস্কে বসে কম্পিউটার বা ল্যাপটপের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে পিঠ ও কাঁধে ব্যথা হয়। ঘাড় ঘোরাতে গেলেই হয় সমস্যা। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এই সমস্যাকে বলা হয় স্পডিলোসিস।

বিশেষজ্ঞদের মতে, স্পন্ডিলোসিস আসলে শিরদাঁড়ার হাড়ের সমস্যা। ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া থেকে শুরু করে সারাক্ষণ ব্যথা, ঘাড় নাড়াতে অসুবিধা হওয়া এই রোগের মূল কষ্টের দিক। ঘাড়ের দিকের অংশে এই রোগ হলে সাধারণত এটাকে সার্ভাইক্যাল স্পন্ডিলোসিস বলা হয়।

আর শিরদাঁড়ার নীচের দিকের অংশে অর্থাৎ পিঠের নিচের দিকে হলে সেটাকে লাম্বার স্পন্ডিলোসিস বলা হয়। এ রোগের কোনো বয়সসীমা নেই।

নারী-পুরুষ যে কেউ এই রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।সাধারণত, ঘাড় ঝুঁকিয়ে কাজ করতে হয়, বা ঘাড়ে ঝাঁকুনি লাগে এমন কাজ যাদের করতে হয় তারাই এই রোগে বেশি আক্রান্ত হন।

স্পন্ডিলোসিস হলে শুধু ঘাড়ে ব্যথা নয়, ব্যথার অংশ অবশ হয়ে যাওয়া, সূচ ফোটানোর মতো অনুভূত হওয়া, মাথা ঘোরা ইত্যাদি উপসর্গও দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ রোগ থেকে বাঁচতে কেবল ওষুধ খেলেই হবে না, কিছু অভ্যাসও মেনে চলতে হবে। যেমন—

১. দীর্ঘসময় বসে কাজ করতে হলে মাঝে মধ্যে উঠে হাঁটতে হবে। ঘাড় এ দিক ও দিক ঘুরিয়ে নিতে হবে। ঘড়ির কাঁটার দিকে ও ঘড়ির কাঁটার বিপরীতে ঘাড় ঘুরিয়ে আবারো সিটে বসতে পারেন।

২. কম্পিউটার এমন দূরত্বে রাখুন যাতে চোখ ও কম্পিউটারের স্ক্রিন সোজাসুজি থাকে। কী বোর্ডের দিকে ঘাড় ঘুরিয়ে না তাকিয়ে চোখ নামিয়ে তাকান।

৩. চেয়ারে সোজা হয়ে বসুন। আরাম করে হেলান দিয়ে নয়, এতে মেরুদণ্ড বেঁকে যেতে থাকে। ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর পর চেয়ার ছেড়ে উঠে দাঁড়ান। কয়েক পা হাঁটুন। খেয়াল রাখবেন, বসার সময় পা যেন মাটি ছুঁয়ে থাকে।

. বালিশ ব্যবহার করা নিয়েও সচেতন হোন। অনেকেই স্পন্ডিলোসিসে বালিশ ছাড়া ঘুমান। কখনোই বালিশ ছাড়া ঘুমাবেন না। ঘুমানোর সময় নরম দেখে বালিশ নিন।

৫. এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে নির্দিষ্ট কিছু ব্যায়াম আছে, বিশেষ করে কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ। মাংসপেশীকে শক্ত রাখার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যায়াম করুন।

আরএম-১২/২১/০৬ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)