প্রিয় মানুষটির প্রাথমিক চিকিৎসায় এই পাঁচটি ভুল করেন না তো?

প্রিয় মানুষটির

কথায় কথায় ডাক্তারের কাছে ছুটতে ভালবাসে, এমন লোক খুঁজে পাওয়া কঠিন। ছোটখাটো চোট-আঘাত, ব্যথা যন্ত্রণায় ঘরোয়া টোটটা বা বাড়িতে রাখা ওষুধ দিয়েই কাজ সেরে নিতে অভ্যস্ত আমার-আপনার মতো অনেকেই। কোন রোগে কী ওষুধ খেতে হবে বা ব্যথা উপশমে কী করতে হবে, তা কম বেশি সকলেই জানেন। কিন্তু প্রশ্ন হল, ডাক্তারির ড না জেনেও যেসব বিদ্যে রোগীর উপর বাড়িতে প্রয়োগ করা হয়, সেসব ঠিকঠাক তো? স্বেচ্ছায় প্রাথমিক চিকিৎসা করতে গিয়ে প্রিয় মানুষটির বিপদ ডেকে আনছেন না তো? চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলি মাথায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।

নাক থেকে রক্তক্ষরণ:

নাক থেকে রক্তক্ষরণ হলে অনেকেই বলে থাকেন মাথা পিছনের দিকে করে নিতে। ধারণা, এর ফলে রক্ত তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়। কিন্তু তেমন কিছুই হয় না। উলটে নাক ও মুখ বেয়ে তা গলা পর্যন্ত নেমে আসে। আর সেই রক্ত আপনার পেটে ঢুকলে বমি পর্যন্ত হতে পারে। শুষ্ক আবহাওয়া অথবা এলার্জির জন্যই সাধারণত নাক থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। এমনটা হলে সামনের দিকে ঝুঁকে নাকের উপর দিকটা চেপে ধরেন। ১০ মিনিটের মধ্যে ক্ষরণ বন্ধ না হলে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

পোড়া স্থানে বরফ:

ভুল করেও এই ভুলটি করবেন না। পোড়া স্থানে বরফ দিলে স্থানটি অসাড় হয়ে যেতে পারে। এটি ত্বকের ক্ষতিও করে। শরীরের কোনও অংশ পুড়লে সেখানে মাখন বা টুথপেস্টও লাগাবেন না। বরং জায়গাটায় ভাল করে ঠান্ডা জল দিন। তারপর শুকনো কাপড়ে মুছে ওষুধ লাগান।

আহত ব্যক্তিকে নড়ানো:

অনেক সময় কোনও পড়ে গিয়ে আহত হওয়া ব্যক্তি ঠিক আছেন কি না বুঝতে তাঁকে নাড়িয়ে-চাড়িয়ে দেখা হয়। এমনটা করতে গিয়ে তাঁর শিরদাঁড়ায় চোট লাগলে কিন্তু বিপদ বাড়বে। এমনকী সারাজীবনের জন্য কোনও নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও সম্ভাবনা থেকে যায়। এসব না করে তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।

চোখ থেকে ধুলো বের করা:

চোখে সামান্য কিছু ধুলো-বালি ঢুকে গেলেও অস্বস্তি হতে থাকে। সহ্য করতে না পেরে অনেকেই চোখ ঘষতে থাকেন এই ভেবে, যে এতে ধুলিকণা বেরিয়ে আসবে। কিন্তু জেনে রাখুন, আসলে এতে চোখের ক্ষতিই হয়। এমনটা হলে সঙ্গে সঙ্গে চোখে জলের ঝাপটা দিন।

ক্ষতস্থানে থুথু:

অনেক সময় কোনও ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে হলে জলের অভাবে সেখানে থুথু দেন। এই বিশ্বাসে যে এতে জীবাণু দূর হবে। কিন্তু এমন ধারণা সঠিক নয়। এতে ক্ষত আরও গভীর হতে পারে। এসব ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পরিষ্কার জলই ব্যবহার করুন।

আরএম-১৩/০৫/০৭ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সংবাদপ্রতিদিন)