ভয় নয়, সাবধান হোন পেটের সমস্যা থেকে

ভয় নয়

হয় কোষ্ঠকাঠিন্য, নয় তো বারবার বাথরুম যাওয়া।সবসময়ে পেটভার. আর গ্যাস-অম্বল তো লেগেই রয়েছে। এমতাবস্থায় ডাক্তারবাবু বলছেন, কোনও বড় অসুখ করেনি আপনার।

ইউএসজি থেকে শুরু করে কোলনোস্কপি, সবকিছুই করিয়েছেন, রিপোর্ট ওকে, তাহলে বুঝবেন, আপনার হয়তো-বা জ্যোতি বসুর অসুখ করেছে। ডাক্তারি পরিভাষায় যার নাম, ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম।

মূলত মাত্রাতিরিক্তি দুশ্চিন্তা বা স্ট্রেস থেকে এই রোগ দেখা দেয়। যাঁরা সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে খুব বেশি ভাবনা বা দুর্ভাবনা করেন, তাঁরাও অনেকে এই রোগে ভোগেন। দেখা গিয়েছে, যাঁরা খুব সংবেদনশীল তাঁরা হামেশাই এই রোগের শিকার হন।

ইরেটেবল বাওয়েল সিনড্রোম থেকে আপনার কোনও বড় কিছু হওয়ার আশঙ্কা নেই। অন্তত ক্যানসার তো নয়ই। কিন্তু এই রোগ আপনাকে ভোগাবে আজীবন।

সাধারণত কোলনের নীচের অংশ, যাকে সাধারণত ডিসেনডিং কোলন বলা হয়, তা শক্ত বা স্টিফ হয়ে যায় ইরেটেবল বায়য়েল সিনড্রোমে। ফলে বাওয়েল মুভমেন্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে দেখা যায়, খুব কোষ্ঠকাঠিন্য। আবার হয়তো-বা বারবার বাথরুমে যাওয়া। সেই সঙ্গে লেগে থাকে গ্যাস, অম্বল, বদহজমের সমস্যা।

ইরেটেবল বাওয়েল হলে প্রথমেই আপনাকে দুশ্চিন্তা কমাতে হবে। তাই মেডিটেশন বা যোগাসন, প্রয়োজনে সাইকোলজিস্ট বা সায়কিয়াট্রিস্টের পরামর্শ নিতে হবে। রাতে ঘুম যেন ভাল হয়, তা যে কোনও মূল্যে নিশ্চিত করতে হবে। দিনে অন্তত সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুম খুবই জরুরি।

খাবারের মধ্যে দেখবেন, ভাজাভুজি বা তেল-ঝাল বেশি খাবেন না। তেল গড়গড়ে রান্না দেখতে যতই ভাল লাগুক না কেন, মনে রাখবেন তা কিন্তু আপনার শত্রু। কাঁচালঙ্কা সামান্য চললেও চলতে পারে, কিন্তু শুকনো লঙ্কা এক ফোঁটাও চলবে না।

খাবারের মধ্যে বেশি করে টকদই রাখবেন। জানবেন, দইতে থাকে প্রোবায়োটিক, যা হজম করতে আপনাকে সাহায্য করবে। প্রয়োজনে প্রোবায়োটিক ক্যাপসুলও প্রেসক্রাইব করতে পারেন আপনার ডাক্তার।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমাতেও এর জুড়ি মেলা ভার। দরকার হলে ইসবগুল খেতে পারেন নিয়মিত। আর, সবচেয়ে বড় কথা, আনন্দে থাকবার চেষ্টা করুন, চারপাশে যতই নিরানন্দের উপাদান থাকুক না কেন।

আরএম-০৫/২১/০৮ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)