যা খেলে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে

যা খেলে

দৈনন্দিন জীবনে খাদ্যাভ্যাস ও লাইফস্টাইল পরিবর্তন হওয়ায় প্রতিনিয়ত যেসব খাবার খাই, তার অনেকগুলো ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

এক গবেষণায় বলা হয়েছে, ১০ ভাগ ক্যান্সারের মূল কারণ কোনো না কোনো খাবার। বহু ক্যান্সার যেমন খাদ্যের কারণে হয়, তেমনি বহু ক্যান্সার আবার খাবারের মাধ্যমে প্রতিরোধ করা সম্ভব।

১. ফ্রেঞ্চ ফ্রাই ও আলুর চিপস তৈরিতে ক্ষতিকর ও অস্বাস্থ্যকর স্ট্রান্সফ্যাট ব্যবহার করা হয়। ট্রান্সফ্যাটের সমস্যার কথা আমরা বহু আগে থেকে জানলেও সাম্প্রতিক গবেষণায় জানা গেছে, এসব স্ন্যাকজাতীয় খাবারে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী অ্যাক্রাইলেমাইড নামের এক রাসায়নিক যৌগ উপস্থিত থাকে।

২. মাইক্রোওয়েভ ব্যবহার করে আজকাল ঘরে ঘরে ভুট্টার খই তৈরি করা হয়। এক ধরনের বিশেষ থলেতে ভুট্টা রেখে মাইক্রোওয়েভে দিলে মিনিটের মধ্যে ম্যাজিক শুরু হয়ে যায়। কিন্তু এ পদ্ধতিতে খই তৈরি করে খাওয়ার মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি আছে।

৩. লাল মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। গরু, ছাগল, ভেড়া, শূকর ও অন্যান্য পশুর লাল মাংস সুষম খাবারের উৎস; যা শাক-সবজি ও ফলমূলে পাওয়া যায় না। অতিমাত্রায় লাল মাংস খাওয়া স্বাস্থ্যসম্মত নয়- এ কথাটি পুরনো হলেও লাল মাংস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।

৫. স্থূল মানুষ ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ, হৃদরোগ ও স্ট্রোকে বেশি আক্রান্ত হয়। স্থূলতার ভয়ে আজকাল অসংখ্য মানুষ চিনির পরিবর্তে ডায়েট, জিরো ক্যালরি এবং লো-ক্যালরির কৃত্রিম চিনিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছেন। ক্যালরিবিহীন কৃত্রিম চিনি ওজন কমাতে বা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করলেও ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে।

৬. রুটি, পেস্ট্রি, সাদা চাল, ময়দা, পেস্তা হল শর্করার প্রধান উৎস। এসব খাবার আমাদের প্রতিদিনের শক্তি জোগায়। কারণ এসব পরিশোধিত খাদ্যশস্য অতি সহজে ও অল্প সময়ে গ্লুকোজে রূপান্তরিত হয় এবং শরীরের কোটি কোটি কোষে পৌঁছার জন্য রক্তে ছড়িয়ে পড়ে। এ দ্রুত সৃষ্ট গ্লুকোজ শুধু সাধারণ কোষের শক্তি জোগায় না, ক্যান্সার কোষের শক্তিও জোগায়।

৭. সোডা অতি পরিচিত ও বহুল ব্যবহৃত পানীয়। সোডা শুধু তৃষ্ণা নিবারণ করে না, সোডা পান ক্যান্সারের ঝুঁকিও বাড়ায়। অন্যান্য মিষ্টি কোমল পানীয়র মতো সোডার মধ্যেও রয়েছে অ্যাসপার্টেমের মতো অনেক কৃত্রিম চিনি।

৮. লবণে জারিত বা ধুমশোধিত শূকরের মাংস, হটডগ, সালামি, মিটলোফ এবং সসেজ বহু মানুষের দৈনন্দিন জীবনের খাবার। এসব খাবার ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় বেশ দ্রুত গতিতে।

৯. মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে অ্যালকোহল পান ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় বলে এক পরীক্ষায় দেখা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে ক্যান্সারে মোট মৃত্যুর তিন ভাগ হয় অ্যালকোহল পানের কারণে।

১০. টমেটো সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর খাবারগুলোর মধ্যে অন্যতম। টমেটোতে লাইকোপেন, লিউটিন, বিটা-কেরটিন ও কোলিনের মতো গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এছাড়াও টমেটোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, সি ও কোলিক অ্যাসিড। কিন্তু টিনজাত টমেটো ক্যান্সারের জন্য ভালো নয়।

আরএম-০৮/২৫/০৮ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)