বিপদ ঘটাতে পারে যে ১৪ খাবার

বিপদ ঘটাতে

অনেক খাবার রয়েছে যেগুলো নিয়ম না মেনে খেলে ভয়ঙ্কর পরিণতি হতে পারে। খাবারগুলো অতিরিক্ত মাত্রায় খেলে মৃ’ত্যুও হতে পারে। ঝুঁকিপূর্ণ স্বাস্থ্য অবস্থা থেকে এড়াতে নীচের এই ১৪ খাবার সম্পর্কে জেনে নেয়া ভালো।

আপেল: বলা হয় একদিনে একটা আপেল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে আপনাকে ডাক্তারের কাছে যেতে হবে না।

কিন্তু জানেন কি, ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে সস্তার মোমের প্রলেপ দেয়া হয় আপেলে। তাই সবসময় আপেল খাওয়ার আগে ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। আপেলের বীজও সায়ানাইডের মতোই বিষাক্ত। অনেকগুলো একসাথে খেয়ে ফেললে মৃ’ত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।

আমন্ড বাদাম: আমন্ড বাদামে থাকা টক্সিন শরীরে ভালোর বদলে মন্দই করবে। এগুলো প্যাক করার আগে যে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় তা সায়ানায়েডের মতোই বিষাক্ত!

মধু: আনপাস্তুরাইজড মধুতে পাইরোলাইজিডিন থাকে। যা ক্যানসার হতে পারে, লিভারের সিরোসিসও হতে পারে।

রাজমা: রাজমায় থাকা লেকটিন, ফাইটো হেমাগ্লুটেনিন বিপদের দিকে ঠেলে দেয়। রাজমা কখনওই কাঁচা খাওয়া ঠিক না। আর রান্না করার আগে অবশ্যই পানিতে ভিজিয়ে রেখে দিন। তারপর খুবই ভালো করে রান্না করুন, তাতে অন্তত বিপদ থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।

টমেটো: টমেটোর পাতায় থাকে গ্লাইকোক্যালয়েড নামের বিষাক্ত যৌগ। এই যৌগ পেশীতে টান, পেট খারাপ, অস্থিরতা ইত্যাদি সমস্যা অনেকটাই বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই টমেটো খাওয়ার সময়ে সাবধান হতে হবে।

আলু: সোলানাইন নামক বিষাক্ত যৌগ থাকে আলুর পাতা এবং কাণ্ডে। আলুতে অনেক সময় বেশ কিছু সাদা সাদা অংশ বেরোতে দেখা যায়। সেই অংশ গুলো ফেলে দেবেন।

জায়ফল: অনেকেই বাহারি রান্নাতে জায়ফল দেন। খাবারে দারুণ গন্ধ, মিষ্টি-মিষ্টি স্বাদ আনে যে ফল। তাতেই বমি, পেট খারাপ ইত্যাদি হতেই পারে।

মাশরুম: ‘অ্যামানিটা ভিরোসা’ প্রজাতির মাশরুম নিশ্চিত মৃ’ত্যুর দিকে ঠেলে দিতে পারে। যদিও ঠিকঠাক মাশরুমে যথেষ্ট পরিমাণে প্রোটিন থাকে। কিন্তু সঠিক মাশরুম বেছে নিতে হবে।

ধনেপাতা: ধনেপাতায় এত বেশি পরিমাণে কীটনাশক থাকে যা স্বাস্থ্যের ভালোর বদলে খারাপ করে দিতে পারে। তাই ধনেপাতা রান্না করুন বা কাঁচা দিন কিছুতে, অবশ্যই ধুয়ে নেবেন ভালো করে।

কাঁচা মাংস: মাংস ভালো করে রান্না করে না খেলে মারাত্মক বিপদ হতে পারে। শুধু মাংসই নয়, কাঁচা অবস্থায় যে কোনো সি ফুড হোক বা পোল্ট্রির খাবার তাতে থাকে সালমোনেলার মতো ব্যাকটিরিয়া। এগুলো মৃ’ত্যুর দিকে ঠেলে দেয়।

পাফার মাছ: জাপানের এই মাছে প্যারালাইসিস হওয়ার সম্ভাবনা আছে ঠিক করে রান্না করে না খেলে।

চীনা বাদাম: যাদের অ্যালার্জি আছে, তারা এই বাদামে বেশি মাত্রায় খেলে শিরা ধমনী ব্লক হয়ে যেতে পারে।

ব্লু বেরি: যে ভাবে ধনেপাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে প্রচুর, সেরকমই ব্লু বেরিতেও থাকে। প্রায় ৫২ রকমের কীটনাশক ব্যবহার করা ব্লু বেরি সঠিকভাবে পরিষ্কার করে না খেলেই বিপদ।

হটডগ: এতে থাকা ওবেসিটি সহজেই গ্রাস করে বাচ্চাদের। যে কোনো জাঙ্ক ফুডই বাচ্চাদের ক্যালোরির জন্য সমস্যা করে। কোলেস্টেরলের সমস্যা করে।

আরএম-০৫/১২/০৯ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)