পাকা পেঁপে মিষ্টি হলেও ডায়াবেটিস রোগীর জন্য ক্ষতিকর নয়!

পাকা পেঁপে

ডায়াবেটিস মানেই সবরকম মিষ্টি খাবারকে বিদায় জানাতে হয়। এমনকি মিষ্টি জাতীয় ফলও খাদ্যতালিকা থেকে বাদ পড়ে। কারণ বেশিরভাগ লোকেরই ধারণা, মিষ্টি জাতীয় খাবার খেলে ব্লাড সুগারের সমস্যা আরও বেড়ে যায়। কিন্তু আমরা কয় জন জানি যে, এমন কিছু ফল আছে, যা আমাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে! যেমন, পেঁপের কথাই ধরা যাক। পেঁপে ডায়াবেটিসের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে খুব ভালো কাজ দেয়। খেতে মিষ্টি হলেও, এই ফলটি কিন্তু কোনওভাবেই সুগারের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে না। যদিও লেবু জাতীয় ফল ডায়াবেটিসে আক্রান্তদের জন্য একদমই ভালো নয়। তাহলে আর অপেক্ষা কেন, দেখে নেওয়া যাক কিভাবে পেঁপে দারুণ ভাবে কাজ করে ডায়াবেটিসের সমস্যায়-

শর্করার পরিমাণ খুবই কম থাকে

পেঁপের মধ্যে সুগারের পরিমাণ খুবই কম থাকে। প্রতি এক কাপ পেঁপেতে ৮.৩ গ্রাম মিষ্টি থাকে। তাছাড়াও গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপে টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোধ করতে দারুণভাবে সাহায্য করে। পেঁপের মধ্যে ‘পাপাইন’ নামক এক ধরনের এনজাইম থাকে, যা আমাদের শরীরকে ভিতর থেকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং ডায়াবেটিস সহ নানা রোগের থেকে বাঁচায়।

প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন পাওয়া যায়

পেঁপের মধ্যে ভিটামিন এবং ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এছাড়াও ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম ইত্যাদিও প্রচুর পরিমাণে থাকে। এখানেই শেষ নয়, পেঁপে যেহেতু হাইপোগ্লাইকেমিক বা ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, তাই হৃদযন্ত্রের যত্নেও দারুণ উপকারী এই ফল। সুস্থ থাকতে ভুলেও উত্তর দিকে মাথা করে ঘুমোবেন না যেন? ভুলেও এবার থেকে লেবুর খোসা ফেলে দেবেন না যেন! ঘরের প্রতিটি কোণায় পিঁয়াজ রাখলে কী হতে পারে জানেন?

ফাইবার সমৃদ্ধ

পেঁপের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে, যার ফলে খিদের সময় এই ফলটি খেলে অনেকক্ষণ যেমন পেট ভরা থাকে, তেমনি শরীরও উপকারী উপাদান দ্বারা পরিপুষ্ট হয়ে ওঠে।

সুগার নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

পেঁপে আমাদের শরীর থেকে অতিরিক্ত সুগার বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে আমাদের শরীরে ডায়াবেটিসের মতো মারণ রোগ বাসা বাঁধতে পারে না। তবে, শুধুমাত্র পেঁপে নয়। জাম, অ্যাভোকাডো, তরমুজ, প্লাম এবং পেয়ারাও ডায়াবেটিস রোগকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই, ডায়াবেটিসকে আর ভয় না পেয়ে, রোগটিকে কাবু করতে প্রতিদিন পরিমাণ মতো ফল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন।

আরএম-৩৮/২২/০৯ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)