সকালে ঘুম থেকে উঠে খান কাঁচা ছোলা, উপকার পাবেনই

সকালে ঘুম

ছোলা অত্যন্ত পুষ্টিকর। কাঁচা ছোলা খেলে আমিষ খাওয়ারও প্রয়োজন পড়ে না ৷ কারণ এতে প্রায় মাছ-মাংসের সমান পুষ্টি রয়েছে। তাই খাদ্যতালিকায় ছোলা থাকলে মাছ বা মাংস খাওয়ারও দরকার নেই। কাঁচা ছোলা খাওয়া যতটা উপযোগী, ছোলার ডালের তৈরি ভাজা খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল। হজমশক্তি বুঝেই তাই ছোলা হোক পরিবারের শক্তি। কাঁচা ছোলার গুণাগুণগুলো জেনে নেওয়া যাক ৷

ডাল হিসেবে: ছোলা পুষ্টিকর একটি ডাল। এটি মলিবেডনাম এবং ম্যাঙ্গানিজ এর চমৎকার উৎস। ছোলাতে প্রচুর পরিমাণে ফলেট এবং খাদ্য আঁশ আছে সেই সঙ্গে আছে আমিষ, ট্রিপট্যোফান, কপার, ফসফরাস এবং আয়রন।

হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে: অস্ট্রেলিয়ান গবেষকরা পরীক্ষায় দেখেছেন যে খাবারে ছোলা যুক্ত করলে টোটাল কোলেস্টেরল এবং খারাপ কোলেস্টেরল এর পরিমাণ কমে যায়। ছোলাতে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় দু’ধরনের খাদ্য আঁশ আছে যা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকাংশেই কমিয়ে দেয়। আঁশ, পটাসিয়াম, ভিটামিন ‘সি’ এবং ভিটামিন বি-৬ হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়। এর ডাল আঁশসমৃদ্ধ যা রক্তে কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: আমেরিকান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখানো হয় যে যে সকল অল্পবয়সী নারীরা বেশি পরিমাণে ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার খান তাদের হাইপারটেনশন এর প্রবণতা কমে যায়। যেহেতু ছোলায় বেশ ভাল পরিমাণ ফলিক অ্যাসিড থাকে তাই ছোলা খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হয়। এছাড়া ছোলা বয়ঃসন্ধি পরবর্তীকালে মেয়েদের হৃদযন্ত্র ভাল রাখতেও সাহায্য করে।

ক্যান্সার রোধ: বেশি পরিমাণে ফলিক অ্যাসিড গ্রহণে মেয়েদের কোলন ক্যান্সার এবং রেক্টাল ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকাংশেই কমে যায় ৷ এছাড়া নিয়মিত ছোলা খেলে Asthma-র প্রকোপও  কমে ৷

এর পাশাপাশি নিয়মিত ছোলা খেলে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় অনেকাংশে ৷ ডায়াবেটিসেও এটি ভালমতোই উপকারী ৷

আরএম-৩২/০৩/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)