কোষ্ঠকাঠিন্যে যেসব কাজ ভুলেও করবেন না

কোষ্ঠকাঠিন্যে

কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যা হলে মলত্যাগ করতে সময় লাগে এবং মল শক্ত ও ছোট আকারের হয়। পেটে চাপ বা কোত দিয়ে মলত্যাগ করতে হয় এবং করার পরও অস্বস্তিকর অনুভূতি হয়।

এ ছাড়া অনেক সময় দেখা যায় তলপেট ও পিঠে ব্যথা হয় এবং পেটব্যথা, পেটফাঁপা ও বমির উদ্রেক হয়। তবে একটু সতর্ক হলেই এ রোগের কষ্ট দূর করা যায়। সঠিক খাদ্যাভ্যাসের অভাবে কোষ্ঠকাঠিন্য, পাইলস ও অর্শের সমস্যা হয়ে থাকে।

আসুন জেনে নিই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় যা করবেন আর যেসব কাজ থেকে বিরত থাকবেন।

কোষ্ঠকাঠিন্যে কী করবেন?

১. অনেক অসুখের মূলেই আছে ভুল খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস। অনেকেই শাকসবজি খান না। আবার অনেকের পানি খেতে অনীহা।

২. দিনে ৩–৩.৫ লিটার পানি পান করুন। শীতের সময় কিছুটা কম হলেও চলে।

৩. রোজকার ডায়েটে রাখুন পাঁচ রকমের শাকসবজি। আলু-পেঁয়াজ ছাড়া সময়ের সব রকমের সবজি খেতে হবে। ঢেঁড়স কনস্টিপেশন কমাতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়।

৪. যারা কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছেন, তারা নিয়ম করে দুবেলা ঢেঁড়স খেলে সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।

৫. পালংশাক থাকুক মধ্যাহ্নভোজনে।

৬. কুমড়ো, লাউ, পটোলসহ সময়ের সবজি খেতে হবে। খোসাসহ সবজি খাওয়া উচিত।

৭. কলা, পেয়ারা, লেবু, আম, জামসহ বেশিরভাগ ফলেই ফাইবার আছে। নিয়ম করে দিনে ৩-৪টি ফল খেলে ভালো হয়।

কী করবেন না

১. বাথরুমে গিয়ে অনেক ক্ষণ বসে চাপ দেবেন না। এতে সমস্যা বাড়ে।

২. নিয়মিত ব্যায়াম করে ওজন ঠিক রাখুন। বাড়তি ওজন পাইলসের সমস্যা বাড়িয়ে দেয়।

৩. ভারী জিনিস তুলবেন না।

৪. ধূমপানের অভ্যাস থাকলে ছেড়ে দিতে হবে।

৫. মদ্যপানে সমস্যা বাড়ে।

৬. ভাজা খাবার এড়িয়ে চলুন।

৭. খাবাবের নামে ঝলসানো মাংস খাবেন না।

৮. ময়দার খাবার খেলে সমস্যা বাড়ে। চাউমিন ময়দায় তৈরি হয়। মোমোও তাই। সুতরাং এ ধরনের খাবার বাদ দিন।

৯. কেক, বিস্কুট মাত্রা রেখে খান। পরিবর্তে খই, ওটস খেতে পারেন।

পাইলস হলে সময় নষ্ট না করে শুরুতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

আরএম-১৪/০৬/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)