চোখের সব সমস্যার সমাধান রয়েছে এসব খাবারে

চোখের সব

প্রযুক্তির উন্নয়নে সময়ের সঙ্গে তাল মেলাতে কম্পিউটার, ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি ব্যবহারের কারণে শরীরের মহা মূল্যবান অঙ্গ চোখ দুটোর ওপর পড়ছে বাড়তি চাপ। তাই চোখকে সুস্থ রাখেতে প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় শাক-সবজি রাখা প্রয়োজন।

শাক-সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংশ এবং ফলমূলের মধ্যে বেশি পরিমাণে ভিটামিন এ পাওয়া যায়। ভিটামিন এ- এর অভাব জনিত অন্ধত্ব একটি আলাদা রোগ। ভিটামিন এ থাকে লিভারে। এজন্য দেখবেন কর্ড লিভার ওয়েলের ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। যেসব খাবার খাওয়াবেন-

> ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবার হচ্ছে দুধ, ডিম, মাছ, মাংস ইত্যাদি। স্নেহ ও প্রোটিন জাতীয় খাবারের মধ্যে ভিটামিন এ বেশি থাকে।

> দুধের সঙ্গে যষ্টিমধু মিশিয়ে খেলে ভালো ফল পাওয়া যায়। এক চামচ যষ্টিমধু গরুর দুধে সঙ্গে মিশিয়ে দিনে দুবার করে খেতে হবে।

> দৃষ্টিশক্তি সতেজ রাখতে দেশী সবুজ শাক নিয়মিত খান। সবুজ শাককে চোখ সুরক্ষার প্রধান খাদ্য। সবুজ শাক আমাদের চোখকে ইউভি রশ্মির ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়। আমাদের খাওয়ার টেবিলে প্রতিদিন শাক রাখা আবশ্যকীয়।

> চোখের জন্য ছোট মাছ। ওমেগা-৩ এ ভরপুর ছোটমাছ যেমন- টুনা মাছ বা পুঁটি মাছ আমাদের রেটিনাসহ নার্ভ সেলগুলোকে শক্তিশালী করতে ভূমিকা রাখে।

> সারা বছরই পাওয়া যায় এমন দুইটি ফল হল- কমলালেবু এবং মাল্টা। ভিটামিন-সিতে পরিপূর্ণ এই ফল দুইটিতে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে যা আমাদের কর্নিয়াকে সুরক্ষা করে এবং চোখে ছানি পড়া থেকে বাঁচায়।

> ডিম চোখের জন্য উপকারী। ভিটামিন এ-এর প্রায় সব রকমের অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সক্ষম। আর ডিমে এর সব অ্যান্টিঅক্সিডেন্টই কমবেশি থাকায় ডিমকেও ধরা যায় চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধির অন্যতম উপাদান হিসেবে।

> গাজরে থাকে বেটা-ক্যারোটিন। এটা ভিটামিন এ-এর একটি প্রধান অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা রেটিনাকে খুবই ভালো রাখে ফলে আমাদের চোখে ছানি পড়ার দুর্ভাবনা থাকে না। গবেষকরা বলেন, আমাদের প্রতি সপ্তাহে অন্তত কয়েকবার গাজর খাওয়া উচিত।

আরএম-১৭/০৯/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)