দিনে একটি করে পেঁয়াজ খাওয়ার উপকারিতা

দিনে একটি

বাঙালির রান্নায় অপরিহার্য একটি উপাদান পেঁয়াজ। যা ছাড়া তরকারি কিংবা মাছ-মাংস রান্নার কথা চিন্তাই করতে পারেন না অনেকে। কিন্তু প্রশ্ন একটাই, রান্নায় পেঁয়াজ কেন অপরিহার্য বা কী এমন কারণ রয়েছে, যার ঝাঁঝে চোখের পানি ঝড়াতেও কোনো আপত্তি নেই।

উপমহাদেশীয় রান্নার সংস্কৃতিতে পেঁয়াজের গুণ বিচার করা হয় মূলত রান্নার স্বাদে এর অবদানের জন্য। বিভিন্ন তরকারি, কাঁচা মাংস কিংবা মাছের মধ্যে পেঁয়াজের রস ঢুকে তার স্বাদকে আরও বাড়িয়ে- এই হলো পেঁয়াজের আসল গুণ যার জন্য পেঁয়াজের এত কদর।

কেবল এর মধ্যেই পেঁয়াজের গুণাগুণ সীমাবদ্ধ থাকলেও না হয় একটা কথা ছিল, পেঁয়াজের যা দাম- ঝেঁটিয়ে রান্নাঘর থেকে বের করে দিতে পারতেন। অনেককেই বলতে শুনবেন পেঁয়াজ না খেলে কী হয়, রান্না থেকে বাদ দিন এর ব্যবহার! জেনে বলুক আর না জেনেই বলুক কিংবা যে মহৎ উদ্দেশ্য নিয়েই কথাটা বলুক, পেঁয়াজের স্বাস্থ্যগুণ সম্পর্কে জানা থাকলে আজ থেকেই আপনি রান্নার বাইরেও প্রতিদিন আলাদা করে একটি পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করে দেবেন!

বিশ্বজুড়েই ডায়াবেটিসের রোগী আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে, যা থেকে তৈরি হয় ফ্যাটি লিভার। ফ্যাটি লিভার থেকে লিভার সিরোসিস। সিরোসিস থেকে আবার ক্যানসার! কোনো ভয় নেই, রোজ একটি করে পেঁয়াজ খান এসব আশঙ্কা থেকে আপনি থাকবেন বহু দূরে।

মাত্রাতিরিক্ত তৈলাক্ত এবং ঝাল-মশলাযুক্ত খাবারে সিরোসিস অব লিভারের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। কিন্তু রোজ একটা করে কাঁচা পেঁয়াজ খেলে লিভারের সমস্যা অনেকটাই আটকানো সম্ভব। কারণ, কাঁচা পেঁয়াজ শরীর থেকে টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে।

এছাড়াও পেঁয়াজে রয়েছে এমন বেশ কিছু উপাদান, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। ইনসুলিনের ঘাটতি হতে দেয় না। টাইপ টু ডায়াবেটিস এবং ওবেসিটি প্রতিরোধ করে এই পেঁয়াজ।

এখানেই শেষ নয়, পেঁয়াজ রয়েছে প্রচুর কায়ারসেটিন, যা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়, ইনসোমনিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমায়, স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটায়। কাশির প্রকোপ কমায়। এমন আরও উপকারিতা আছে, বলে শেষ করা যাবে না।

আরএম-১৫/১৬/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)