মা-বাবার থেকে যেভাবে গর্ভের সন্তানেরও ডায়াবেটিস হতে পারে
বিশ্বে প্রতিনিয়তই ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডায়াবেটিস হলে শরীরে ইনসুলিন হরমোনের নিঃসরণ কমে যায়। ফলে দেহের কোষে গ্লুকোজ পৌঁছাতে পারে না। ফলে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়।
ডায়াবেটিস কখনও পুরোপুরি ভালো হয় না। তবে এই রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। খাদ্যাভাসের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ডায়াবেটিস শুধু মা-বাবার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে না। এটি গর্ভের সন্তানের শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে।
এমনি তথ্য জানিয়েছে জিডি হসপিটালের ডায়াবেটিস বিভাগের প্রধান ডা. সুজয় মজুমদার।
শিশুদের মধ্যে মূলত চার ধরনের ডায়াবেটিস দেখা দেয়।
শিশুর মধুমেহ
জন্মের পর থেকে ৬ মাস বয়সের মধ্যেই ধরা পড়ে নিওনেটাল ডায়াবেটিস। এই অসুখ খুবই বিরল। ৪ লাখের মধ্যে একজনের হয়। জিনগত কারণে হতে পারে এই ডায়াবেটিস।
টাইপ-২ ডায়াবেটিস
টাইপ-২ ডায়াবেটিস শিশুদের সাধারণত পাঁচ বছর বয়সের পর ধরা পড়ে। সংখ্যা ভিত্তিতে ধরতে গেলে এ ধরনের ডায়াবেটিস শিশুদের বেশি হয়।
কখন প্রয়োজন টেস্ট
শিশুদের ক্ষেত্রে যে প্রধান লক্ষণগুলো দেখা দেয় সেগুলো হলো-
টাইপ ১-এর ক্ষেত্রে
১. বাচ্চা খুব খিটখিটে হয়ে যায়।
২. শিশু খেতে চায় না ও বমি ভাব।
৩. শরীরে অনেক বেশি সংক্রমণ হতে থাকে।
৪. হাতে-পায়ে ব্যথা ও পেটে ব্যথা।
টাইপ ২-এর ক্ষেত্রে
১. বাচ্চা সহজে ক্লান্ত হয়ে পড়ে, বেশি মোটা হয়ে যেতে শুরু করে। ২. প্রস্রাব করার পর সে
ই স্থানে পিঁপড়ে চলে আসে।
রোগ প্রতিরোধ কখন?
নিওনেটাল ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করতে গেলে সমগোত্রে বিবাহ করা চলবে না। বাচ্চাকে অতিরিক্ত খাইয়ে মোটা করবেন না। যে সময় শিশু মাতৃদুগ্ধ ছেড়ে অন্য খাবার খাওয়া আরম্ভ করে, যখন শিশু স্কুলে যাওয়া আরম্ভ করে এবং বয়ঃসন্ধিকালে।
কী করবেন?
ট্রানজিয়েন্ট ও টাইপ-১ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ইনসুলিনই একমাত্র ওষুধ। বাকিগুলোর ক্ষেত্রে ইনসুলিনই ভরসা। এম ও ডি ওয়াই এবং টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে ওষুধই ভরসা।
সাবধানতা
১. বাবা-মা বা পরিবারের অন্য কারও ডায়াবেটিস থাকলে সতর্ক থাকুন।
৩. শিশুকে রোজ খেলাধুলো বা এক্সারসাইজ করানো দরকার।
৪. শিশুকে সুষম খাদ্য দিন। ফাস্ট, জাঙ্ক ও প্রসেসড ফুড না খাওয়ানোই ভালো।
আরএম-২২/১৭/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক, তথ্যসূত্র: সংবাদপ্রতিদিন)