চিনি খেয়েও সুস্থ থাকার উপায়

চিনি খেয়েও

সব রোগের যম চিনি! মিষ্টির প্রভাব বাড়িয়ে দেয় নানা রোগ। তাতে কি? চিনি খাওয়াতো আর বাদ রাখা যায় না। তাই স্বাস্থ্য সচেতন ক্রেতার নজর এখন আখের চিনিতে।

লালচে রঙের এই চিনি অন্যান্য বিট থেকে উৎপাদিত ঝকঝকে, মিহি দানার সাদা চিনি থেকে স্বাস্থ্যকর। তারপরও এতদিন ভুল ধারণা থেকে এড়িয়ে চলা হতো। তবে বর্তমানে কদর বাড়তে শুরু করেছে অবহেলিত সেই লালচে বা বাদামি রঙের চিনির। আখ থেকে রস বের করে গরম পানিতে ধোয়া এবং শোধন করার পর যে তরল পাওয়া যায় তাতে শতকরা ৯৬ ভাগ সুক্রোজ থাকে। আর শতকরা চারভাগ থাকে উদ্ভিজ্জ উপাদান। এই তরল শুকিয়ে যে চিনি পাওয়া যায় সেটার রং হয় সোনালি বা বাদামি।

বাংলাদেশ খাদ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের পরীক্ষায় দেখা গেছে, আখ থেকে উৎপাদিত চিনিতে ক্যালসিয়ামের মাত্রা ১৬০ দশমিক ৩২, পটাশিয়াম ১৪২ দশমিক ৯ ভাগ, শতকরা ৪৬ ভাগই থাকে সুক্রোজ, ফসফরাস ২ দশমিক ৫ থেকে ১০ দশমিক ৭৯, আয়রন শূন্য দশমিক ৪২ থেকে ৬ ভাগ, ম্যাগনেশিয়াম শূন্য দশমিক ১৫ থেকে ৩ দশমিক ৮৬ ভাগ, সোডিয়াম শূন্য দশমিক ৬ ভাগ। এছাড়াও পাওয়া যায় কপার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিংক ও ভিটামিন বি।

জেনে নিন লাল চিনির উপকারিতাগুলো-

> লাল চিনির মোলাসেস অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে।

> এতে বিদ্যমান ফলিক এসিড দেহে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে।

> এ চিনি দেহে রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে।

> লাল চিনির খাদ্য উপাদান অন্ত্রের সুস্থতা বজায় রাখে এবং ক্ষুধামন্দা দূর করে।

> এ চিনির উপাদান হজমে সহায়তা করে।

> আয়রনসমৃদ্ধ হওয়ায় প্রসব-পরবর্তী সময়ে মায়েদের জন্য উপকারী।

> সর্দি-জ্বর হলে লাল চিনি এক কাপ গরম পানির সঙ্গে আদা কুচি ও লাল চিনি মিশিয়ে খেলে সর্দি-জ্বর দ্রুত ভালো হয়।

> এছাড়াও লাল চিনি ত্বক চর্চায় ব্যবহার হয়।

> ত্বক পরিচর্যায় লাল চিনি লাল চিনি ও দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে ফেসিয়াল মাস্ক হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

> প্রতিদিন একবার করে এ মাস্ক ত্বকে ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয় এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।

আরএম-১২/১২/১১ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)