শীতে শুষ্ক ত্বকে চুলকানি? জেনে নিন প্রতিকার

শীতে শুষ্ক

প্রচণ্ড গরমের পর প্রকৃতির নিয়মেই এখন শীত নেমে এসেছে। রাজধানী ঢাকায় তেমন শীত না থাকলেও বাইরের জেলাগুলো, বিশেষ করে উত্তরবঙ্গে এখন প্রচণ্ড শীত। ঠান্ডার সময় পানি একটু কম খাওয়া হয়।

ফলে ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে। এছাড়া বেশি বেশি চা-কফি-মদ ইত্যাদি খেলে শরীর থেকে বেশি পানি বেরিয়ে ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। ত্বকের আর্দ্রতাও আরও কমে। ক্রিম না মাখলে শুরু হয় চুলকানি। এর সঙ্গে খাওয়ার নিয়ম, গোসলের নিয়ম, প্রসাধনী ও ওষুধপত্রের ব্যবহার ঠিক ভাবে না মেনে চললে বিপদ বাড়ে। কীভাবে মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে?

শীতকালে চিপস-পাকোরার জুড়ি নেই। যার ফলে সুষম খাবারের প্রতি কারও আগ্রহ থাকে না।। যে কারণে ত্বকের আদ্রতাও কমতে থাকে। ভালো করে যত্ন না করলে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে। সমস্যা কমাতে ভাজাভুজি কম খান। বেশি খান অ্যান্টিক্সিড্যান্ট ও ন্যাচারাল ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার। যেমন, মৌসুমি ফল, আপেল, আমন্ড, আখরোট, অ্যাভোক্যাডো। অলিভ অয়েলে সতে করা সব্জি বা স্যালাড খান। বেশি করে তৈলাক্ত মাছ, হলুদ-কমলা-গাঢ় সবুজ রংয়ের শাকসবজি খান। জলীয় খাবার খান বেশি। যেমন, ৮১০ গ্লাস পানি, স্যুপ, ফলের রস, ঘোল, দুধ।

উল বা গরম কাপড়ে চুলকানি বাড়লে সুতির জামার উপর গরম জামা পরুন। মৃদু সাবান নিরাপদ। সুগন্ধে অ্যালার্জি থাকলে মৃদু গন্ধের বা গন্ধহীন সাবান মাখুন।

গোসলের পর ভেজা গায়ে লাগান গন্ধহীন নারকেল তেল। তার পর এক মগ পানি ঢেলে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো করে চেপে মুছে নিন, ত্বকের আর্দ্রতা বেশি ক্ষণ বজায় থাকবে। কম থাকবে চুলকানি। ময়েশ্চারাইজারও লাগাতে পারেন।

গোসলের পর অল্প ভেজা গায়ে লাগালে ত্বকের গভীরে যাওয়া পানির উপর প্রতিরোধক আবরণ তৈরি হয়ে আর্দ্রতা বজায় থাকে বেশি ক্ষণ। তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন মৃদু গন্ধের জেল বেস্ড লোশন, ত্বকের প্রকৃতি শুষ্ক হলে মাখুন ক্রিম বেস্ড লোশন।

শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যায় না। আর গরম পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক আরও শুকিয়ে যায়। কাজেই মধ্যপন্থা নিন। গরম পানি ছাড়তে না পারলে গোসল সারুন সংক্ষেপে।

আর দীর্ঘ গোসলের আরাম নিতে গেলে ব্যবহার করুন উষ্ণ পানি। রক্ত সঞ্চালন বেড়ে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে তাতে। তার পর ভেজা গায়ে তেল বা ক্রিম লাগিয়ে নিলে চুলকানি কম থাকে।

এছাড়া নিয়ম মেনে চুলকানি না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে মলম লাগান কিংবা অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধ খান। সমস্যা ঠেকাতে অনেক সময় শীতের শুরু থেকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও বিটা ক্যারোটিন সাপ্লিমেন্ট খেলে উপকার হয়।

আরএম-১৯/০৩/১২ (স্বাস্থ্য ডেস্ক)